নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি যে ভুল করেছে তার খেসারত অনেক দিন দিতে হবে: কাদের
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিয়ে যে ভুল বিএনপি করেছে সে ভুলের খেসারত আরও অনেক দিন দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “পাকিস্তানের নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের কোনো মাতামাতির নেই। আমাদের নির্বাচন নিয়ে যেভাবে মাতামাতি করে, ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আসে, কিন্তু সেভাবে পাকিস্তানে মাতামাতি নেই।”
শুক্রবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “পাকিস্তানে গণতন্ত্র আর বাংলাদেশের গণতন্ত্র যোজনযোজন দূরের ব্যাপার। দুনিয়ার কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক নেই। পাকিস্তান ধরে রেখেছে। আমাদের দেশে বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্ব যেভাবে মাতামাতি করে, ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আসে কিন্তু সেভাবে পাকিস্তানে মাতামাতি নেই। পাকিস্তানের নির্বাচনে সহিংসতা হয়েছে, ভোট কারচুপির খবর মিডিয়ায়ও চলে এসেছে। ৯ জন সহিংসতায় মারা গেছে। কাজেই আমরা গণতন্ত্রের যে ট্রু ফর্ম সেটা অনুসরণ করি। আমাদের দেশে ইলেকশন হয়েছে বিরোধী দল আসেনি। কিন্তু আমাদের নির্বাচনটা ফেয়ার হয়েছে।”
বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “দিনক্ষণ দিয়ে দুনিয়ার কোনো দেশে আন্দোলন হয়েছে এমন কোনো খবর আমাদের কাছে নেই। আন্দোলন হয় আন্দোলন হওয়ার মতো যখন বস্তুগত অবস্থান থাকে। যারা আন্দোলন করবে তাদের সাবজেক্টিভ প্রিপারেশন লাগবে। তাদের সাংগঠনিক প্রস্তুতি লাগবে। সে প্রস্তুতি আমাদের বিরোধী দল অর্জন করতে পারেনি। নির্বাচনে অংশ না নিয়ে যে ভুল বিএনপি করে সে ভুলের খেসারত আরও অনেক দিন দিতে হবে।”
আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় কী নিয়ে কথা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “ইলেকশন ম্যানুফেস্টো বাস্তবায়নে আমাদের দলের সুদৃঢ় ঐক্য দরকার। গত নির্বাচনটা সুষ্ঠু হয়েছে। কৌশলগত কারণে স্বতন্ত্ররা নির্বাচন করেছে। ৬২ জন নির্বাচিত হয়েছে। এরা কিন্তু আওয়ামী লীগেরই লোক, অনেকে পদধারীও রয়েছে। এখানে নিজেদের মধ্যে ভুলবোঝাবুঝি হয়েছে, দলের অভ্যন্তরে যে অন্তর কলহ, দ্বন্দ্ব এসব মিটিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের উপজেলা নির্বাচন, মেয়র নির্বাচন আসবে- এসব নির্বাচনে যেন কোনো প্রকার সংঘাত সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশনা আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ দেবেন।”
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ অনেকেই।
(ঢাকাটাইমস/০৯ফেব্রুয়ারি/জেএ/এফএ)