যুক্তরাষ্ট্রে ছাত্র-বিক্ষোভ ও দমন পীড়নের কৌশল
মার্কিন মুল্লুকে ইসরাইলি আগ্রাসনবিরোধী বিক্ষোভ চলছেই। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে তুষের অনল জ্বলছে! আর তা দমাতে মার্কিনি প্রশাসন নিয়েছে বিভিন্ন কৌশল। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে একশরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভের জোয়ারে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রেসিডেন্ট বাইডেন আগের চেয়ে আরও বেশি বাধার মুখে পড়ছেন বলে মনে হচ্ছে। এই বিক্ষোভে ইতোমধ্যে দুই হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দুই সপ্তাহ ধরে যে ছাত্রবিক্ষোভ চলছে, তা দমন করতে বেশ মারমুখী হয়ে উঠেছে পুলিশ। গত কয়েক সপ্তাহে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে রাতভর অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় তাদের। তাঁবু গুটিয়ে ফেলে আন্দোলন বন্ধ করার যে আহ্বান জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, তাতে সাড়া না দেওয়ায় পুলিশ এসে ব্যারিকেড ভেঙে ক্যাম্পাসে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের তাঁবু সরিয়ে ফেলে।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া ইন লস অ্যাঞ্জেলেসসহ (ইউসিএলএ) বিভিন্ন ক্যাম্পাসে এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়। এ সময় যেসব শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস ছেড়ে যেতে অস্বীকৃতি জানায় তাদের গণহারে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য শিক্ষার্থীদের বাইরে বের করে এনে বাসে করে সে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করা হয়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে ইউসিএলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ দমনে মার্কিন কংগ্রেসে তড়িঘড়ি করে পাস করা হয়েছে একটি বিতর্কিত বিল। মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ইহুদিবিদ্বেষের বিরুদ্ধে এ বিল পাস হয়। বিল অনুযায়ী, ইসরায়েল রাষ্ট্রের বিরোধিতা করাটাও ইহুদিবিদ্বেষ বলে গণ্য হবে। নাগরিক স্বাধীনতা আন্দোলনের পক্ষে সোচ্চার থাকা সংগঠনগুলোর বিরোধিতা সত্ত্বেও বিলটি পাস হয়।
বিলটি এখন অনুমোদনের জন্য কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে পাঠানো হবে। প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি পাসের পক্ষে ভোট দেন ৩২০ জন সদস্য। আর বিলটির বিপক্ষে ভোট দেন ৯১ জন। ধারণা করা হচ্ছে, গাজায় ইসরায়েলের হামলার বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে বিক্ষোভ চলছে, তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে বিলটি পাস করা হয়েছে। সিনেটে পাস হওয়ার পর বিলটি যদি আইনে পরিণত হয়, তবে এর মধ্য দিয়ে ইন্টারন্যাশনাল হলোকস্ট রিমেমব্র্যান্স অ্যালায়েন্সের (আইএইচআরএ) দেওয়া ইহুদিবিদ্বেষের সংজ্ঞাকে বিধিবদ্ধ করা হবে। আইএইচআর-এর সংজ্ঞাকে আইনে যুক্ত করা হলে ইহুদিবিদ্বেষের চর্চা হওয়ার অভিযোগ তুলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে তহবিল বন্ধ করে দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিভাগ।
সমালোচকরা বলছেন, আইএইচআর-এর ইহুদিবিদ্বেষের সংজ্ঞাকে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ দমনে ব্যবহার করা হতে পারে। আইএইচআর-এর সংজ্ঞা অনুযায়ী, ইহুদিবিদ্বেষ হলো ‘ইহুদিদের নিয়ে একটি নির্দিষ্ট ধারণা, যা ইহুদিদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশে ব্যবহার করা হতে পারে।’
২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবর ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে সশস্ত্র হামলা চালানোর পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘জেনোসাইড জো’ নামটি ছড়িয়ে পড়ে। হামাসের এই হামলায় ১২শ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয় এবং আরও প্রায় আড়াইশ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় তারা, যার ফলে এখনো যুদ্ধ চলছে।
যুদ্ধের প্রথম মাসগুলোয়, বাইডেন যখন ইসরায়েল সরকারের প্রতি দৃঢ় সমর্থন দেওয়ার কথা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের আরব-মুসলিম জনগোষ্ঠী এবং বাম-গণতান্ত্রিক ভোটারদের মধ্যে অসন্তোষ ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তখন এটি স্পষ্ট ছিল না যে, গাজায় যুদ্ধ এত দীর্ঘ মাস ধরে চলবে এবং অনেক মানুষ হতাহত হবে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৩৪ হাজার ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। যা তরুণ শিক্ষার্থীদের মাঝে অসন্তোষের ঝড় বইয়ে দিয়েছে- যারা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছে।
এই তরুণরা এবং তাদের কাছাকাছি দৃষ্টিভঙ্গির অন্যান্য সংখ্যালঘু যেমন: ল্যাটিনো, এশিয়ান, আফ্রিকান-আমেরিকান, এলজিবিটি সম্প্রদায়ের সদস্যরা মূলত ডেমোক্র্যাট পার্টির ভোটার হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকেন। এদের সমর্থন বড়ো ধরনের পার্থক্য তৈরি করতে সক্ষম যা পেলে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারবেন বাইডেন। কিন্তু বাইডেন কি পাশ করে আসতে পারবেন ? এই প্রশ্ন বাড়ছে প্রতিদিন।
২০২৩ সালের নভেম্বরে, মিশিগান ডেমোক্রেটিক কংগ্রেসওম্যান রাশিদা তালিব এক ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন যাতে তিনি প্রকাশ্যে বাইডেনকে ‘ফিলিস্তিনিদের গণহত্যা’ সমর্থন করার জন্য অভিযুক্ত করেছিলেন। মার্কিন কংগ্রেসে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত একমাত্র প্রতিনিধি তালিব ভিডিওটিতে বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট, আমেরিকার জনগণ এই বিষয়ে আপনার সাথে নেই। আমরা ২০২৪ সালে সেটা মনে রাখবো।’ তার বার্তার পরে, স্ক্রিনটি কালো হয়ে যায় এবং একটি বার্তা সামনে আসে যাতে বলা হয়: ‘জো বাইডেন ফিলিস্তিনি জনগণের গণহত্যাকে সমর্থন করেছিলেন। আমেরিকার মানুষ ভুলবে না। বাইডেন, এখন একটি যুদ্ধবিরতি সমর্থন করুন। অথবা ২০২৪ সালে আমাদের উপর নির্ভর করবেন না।’ এই অস্থিরতা প্রথম রাজনৈতিকভাবে প্রকাশ পায় প্রাইমারির সময় যখন যুদ্ধবিরোধী আন্দোলন জোরদার হয়ে উঠেছিল। ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী নির্বাচনে একটি প্রতিনিধিদের অনেকে বাইডেনকে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেননি। সবমিলিয়ে ফিলিস্তিনে গণহত্যা ইস্যুটি মার্কিনি তরুণ প্রজন্মের মাঝে একটি বড়ো প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছে।
এপ্রিলের মাঝামাঝি ইউএসএ টুডে পত্রিকায় প্রকাশিত এক সমীক্ষা থেকে জানা যায় , ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৩০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে ৪৫ শতাংশ বাইডেনকে সমর্থন করেছিল, যেখানে ট্রাম্প পেয়েছিলেন ৩৭ শতাংশ। এপ্রিলের শেষের দিকে সিএনএন-এর প্রকাশিত আরেকটি সমীক্ষা থেকে ধারণা করা যায় বাইডেন যে ইস্যুতে সবচেয়ে খারাপ রেটিং পেয়েছিলেন তা হলো ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধ পরিচালনায় আমেরিকার ভূমিকা।
মাত্র ২৮ শতাংশ মানুষ এর অনুমোদন দিয়েছিল এবং ৭১ শতাংশ অসম্মতি জানিয়েছিল এবং অসম্মতির পক্ষে তরুণদের অবস্থান অর্থাৎ যাদের বয়স ৩৫ বছরের কম তাদের অবস্থান বাড়তে বাড়তে ৮১ শতাংশে ঠেকেছে। গাজার যুদ্ধ নিয়ে তরুণদের মধ্যে এই অস্থিরতা কি বাইডেনের পুনর্নির্বাচিত হওয়াকে প্রশ্নের মুখে ফেলতে পারে? এই বিষয়ে বিবিসির ওয়াশিংটন সংবাদদাতা অ্যান্থনিজ জার্কার বলেছেন- ‘যুদ্ধের মতোই, ক্যাম্পাসের এই বিক্ষোভগুলো জো বাইডেনকে ক্রমেই চাপের মধ্যে ফেলেছে। বাইডেনের পুনর্নির্বাচিত হওয়ার প্রচারণায় এই তরুণ ভোটাররা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার কথা কিন্তু তিনি এই তরুণদের খেপিয়ে তুলেছেন। সেইসাথে আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে কিছুটা নমনীয় হওয়ায় বা ইহুদি-বিদ্বেষের অভিযোগের প্রতি অন্ধ অবস্থান নেওয়ার কারণেও তাকে বড়ো ধরনের রাজনৈতিক মূল্য দিতে হতে পারে।’
নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির ইতিহাসবিদ রবার্ট কোহেন মিডিয়াকে বলেছেন, ‘ছাত্র আন্দোলন মূলত ভয় তৈরি করছে যে, বাইডেন এই যুদ্ধের জন্য তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনি এলাকাগুলো হারাতে বসেছেন- বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের সমর্থন হারাচ্ছেন- যা নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে।’ এই ইতিহাসবিদ অতীতের উদাহরণ টেনে এনে বলেন, এই বছর ডেমোক্রেটিক পার্টি কনভেনশন (ডিএনসি) শিকাগোতে অনুষ্ঠিত হবে, যেটা এর আগে ১৯৬৮ সালে হয়েছিল। সে সময় ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছিল যা সহিংস পন্থায় দমন এবং ব্যাপক বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৬৮ সালে, শিকাগোর মেয়র রিচার্ড ডেলির দমনাত্মক পুলিশ বাহিনীর সাথে ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করা শিক্ষার্থীদের সংঘাত বেঁধে যায়। তখনকার সব টেলিভিশনে সহিংসতার খবর প্রচার হয়েছিল এবং এটি সত্যিই ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী, হুবার্ট হামফ্রেকে বড়ো ধরনের ধাক্কা দেয়, কারণ টেলিভিশনে ওই সহিংসতা দেখে মনে হয়েছিল ডেমোক্র্যাটরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী দল এবং তাদের শাসনামলে দেশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে। এটি রিচার্ড নিক্সনকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে সাহায্য করেছিল।’ এদিকে, ইউএস প্যালেস্টাইন কমিউনিটি নেটওয়ার্কের নেতা হাতেম আবুদায়েহ ঘোষণা করেছেন, ‘ডিএনসি বিরোধী মিছিলটি শিকাগোর ইতিহাসে ফিলিস্তিনের জন্য সবচেয়ে বড়ো সমাবেশ হবে।’
তিনি বলেছেন- ‘আগস্ট মাসে, আমরা আশা করি যে- যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি, আরব, কৃষ্ণাঙ্গ, লাতিন, এশিয়ান এবং অন্যান্য বিক্ষোভকারীরা 'জেনোসাইড জো' বাইডেন, খুনি কমালা [ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস] উচ্চৈঃস্বরে এবং স্পষ্টভাবে বলবে যেন ইসরায়েলে মার্কিন সাহায্য বন্ধ করা হয়, ইসরায়েলকে অস্ত্র দেওয়া বন্ধ করা হয়।’
যুক্তরাষ্ট্রে এখন চলছে গ্রাজুয়েশন সিজন। মে-জুন মাসে ছাত্র-ছাত্রীরা নতুন টুপি মাথায় দিয়ে সারবেন তাদের পাশের আনন্দ। কিন্তু সেই গ্রাজুয়েশন সিরিমনি পরিণত হচ্ছে মিছিল বিক্ষোভে। লস অ্যাঞ্জেলেসের পোমোনা কলেজের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনিপন্থি বিক্ষোভকারী, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় অন্তত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ডিউক ইউনিভার্সিটিতে ইসরায়েলের সমর্থক হিসেবে পরিচিত জেরি সিনফেল্ড সম্মানসূচক ডিগ্রি লাভ করে বক্তব্য দেওয়ায় কয়েকজন বিক্ষোভকারী অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে যান। বোস্টনের এমারসন কলেজেও বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী গাউন ও টুপি খুলে প্রতিবাদ জানান। এ সময় তাঁরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে স্লোগানও দিতে থাকেন। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে শতাধিক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিন-মিলওয়াকির ফিলিস্তিনিপন্থি বিক্ষোভকারীরা তাদের তাঁবু সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একমত হয়েছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন। এদিকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলাকালে ফিলিস্তিনপন্থি বেশ কয়েকজন শিক্ষকও গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন বর্ষীয়ান অধ্যাপকও আছেন বলেও বিভিন্ন মিডিয়া জানাচ্ছে। এই যে দমন-পীড়ন, তা কি থামাতে পারবে যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রজন্মের চেতনা? এই প্রশ্ন নিয়েই দিন গুনছেন এবারের ভোটারেরা। একটা পরিবর্তন দরকার। কিন্তু তা কীভাবে! সেই আলোর পথই খুঁজছেন বিশ্ববাসী।ফকির ইলিয়াস: কলাম লেখক, কবি ও সাংবাদিক