মরদেহ চুরি ঠেকাতে কবরে লোহার গ্রিল!

কবর থেকে একের পর এক চুরি হচ্ছে মরদেহ। চোর চক্রের কয়েকজন গ্রেপ্তার হলেও শঙ্কায় থাকেন স্বজনরা। অবশেষে মরদেহ চুরি ঠেকাতে কবরের ওপর দেওয়া হয়েছে লোহার গ্রিল। ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুর সদর উপজেলায়।
জানা যায়, এ উপজেলায় দাফনের কিছুদিন পরই চুরি হয়ে যাচ্ছিল মরদেহ। শেরপুরের বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক কবর মরদেহ চুরির ঘটনায় অতিষ্ঠ হয়েছে স্থানীয়রা। চোর চক্রের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও শঙ্কা কাটছে না স্বজনদের।
পুলিশ জানায়, প্রতিটি কঙ্কাল ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করে মাঠ পর্যায়ের চোরেরা। তা হাতবদল হয়ে যায় মূলহোতার কাছে। তারা কেমিক্যালের সাহায্যে কঙ্কালগুলো পরিষ্কার করে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী, ইন্টার্ন ডাক্তারসহ বিভিন্নজনের কাছে বিক্রি করে থাকে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকায়।
সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের সূর্যদী ও পশ্চিমপাড়া গ্রামসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এসব এলাকায় সরকারি কবরস্থান না থাকায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় স্বজনদের মরদেহ। পাহারার ব্যবস্থা না থাকায় বেশিরভাগ পুরোনো কবর থেকে চুরি হচ্ছে মরদেহ। তাই চুরি ঠেকাতে অধিকাংশ কবরের ওপর দেওয়া হয়েছে লোহার গ্রিল।
স্থানীয় আরাবুল শেখ ও ইন্তাজ আলী বলেন, এখন পর্যন্ত দেড় শতাধিক কবরে দেওয়া হয়েছে লোহার গ্রিল। আর গত দুই বছরে এই ইউনিয়ন থেকেই দেড় শতাধিক কঙ্কাল চুরি হয়েছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক হাসান আলী বলেন, এলাকায় কেউ মারা গেলে মাইকিং করার সময়ই কবর পাকা ও রেলিং দেওয়ার জন্য লোক ঠিক করতে হয়। জানাজা শেষে কবর দেওয়া ও একই সঙ্গে গ্রিলের ব্যবস্থাও করা হয়। যদি গ্রিল দেওয়া না হয় তাহলে মরদেহ চুরির আশঙ্কা থাকে।
সদর থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুল্লাহ বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বরে দুইটি পৃথক মামলা হয়। জেলা পুলিশের তৎপরতায় কঙ্কাল চুরির ঘটনায় নালিতাবাড়ী উপজেলা থেকে চার চোরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর চক্রের মূলহোতা দুইজনকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/১১ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/পিএস)

মন্তব্য করুন