এভাবেই জৌলুস হারাচ্ছে ঐতিহাসিক বাংলা শিল্প সংস্কৃতি ও সাহিত্য

মেহেদী হাসিফ
  প্রকাশিত : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:০৩| আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:০৭
অ- অ+

এক সময়ে পর্দার শিল্প সংস্কৃতির জৌলুস ফেকাসে হয়ে গেছিল অপসংস্কৃতির ভয়াল থাবায়। জীবিত ছিল কাব্য চর্চা ও বই শিল্প। এদেশের ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছেন কাজী নজরুল ইসলাম, হুমায়ুন আহমেদ, মাইকেল মধুসূদন দত্তদের মতো অসংখ্য গুণীজন। বইমেলা তার রাজসাক্ষী।

এই জায়গাটাও এখন অন্ধকারাচ্ছন্ন অবস্থায় পৌঁছেছে বললে ভুল হবে না। সস্তা ছবিযুক্ত রঙিন মলাটের ভেতরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিতমুখদের সর্বজানা সমালোচিত জীবনীগ্রন্থ।

তাতে না আছে লড়াইয়ের গা শিউরে ওঠার মতো গল্প আর না জীবনে ফেরার অনুপ্রেরণা, তবুও কেন বইতে? প্রশ্নের উত্তরে ‘নতুনদের সুযোগ দেওয়ার প্রচেষ্টা’। হ্যাঁ নতুনরা ও লিখছে ভরা উদ্যমে চমৎকার সব সম্ভাবনাময় লেখা, তবে এর ব্যতিক্রমই বেশি।

লেখক-পাঠকদের মিলনমেলা এখন দর্শনার্থীদের বিনোদনের জায়গায় রূপ নিয়েছে। মোটা লাইনে খবর আসছে মেলায় গাঁজার গন্ধে পাঠকদের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া, প্রকৃত পাঠকদের মেলা বিমুখী হওয়ার সম্ভাবনা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচিত কথিত লেখকদের অপমানিত হওয়ার হিড়িক।

এটা কেমন বইমেলা? না প্রকাশনীদের লাগাম টানার কেউ, না আছে মেলার পরিবেশ রক্ষার দৃষ্টান্ত পদক্ষেপ।

উন্মুক্ত সাহিত্য সংস্কৃতির এই দেশে বিবেক শূন্য দায়িত্ব-কর্তব্যহীন সাহিত্য চর্চা আরম্ভ হলে খুব নিকটে সেদিন যেখানে অব মূল্যায়ন ও ছোট চোখে দেখবে ইতিহাসের সাক্ষী এসব বইমেলা এবং সাহিত্যকর্মকে আগামী প্রজন্ম।

আমি চাই নতুনরা সম্মানের সঙ্গে সুযোগপ্রাপ্ত হোক। শিক্ষণীয়, প্রযুক্তিকেন্দ্রিক, দেশ ও বিদেশের সংস্কৃতি, ই-আর্নিং, ডিজিটাল শিক্ষাক্রম, কবিতা, গল্প, কাব্য, রাজনীতি, বিশ্ব সভ্যতা, এরকম জীবনের জন্য আগামীর জন্য লিখুক যা গর্ভের এবং অহংকার হয়ে উঠবে।

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
এবার বড় ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ, সিরিজ পাকিস্তানের
চাঁদপুরে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড
অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য যুবদল নেতা নয়নের দুঃখ প্রকাশ
অসুস্থতার কারণে রাকিব চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পূর্ণবিশ্রামে আছেন: ছাত্রদল
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা