জোয়ারের তোড়ে তীড়ে উঠে এল বিশাল জাহাজ

নিম্নচাপের প্রভাবে বঙ্গেপসাগরের প্রবল জোয়ারের তোড়ে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপকূল গহিরার চরে উঠে গেছে কয়লাবাহী বিশাল দুই জাহাজ। জাহাজ দুটি হলো কার্গো শিপ ‘নাভিমার-৩’ ও লাইটার জাহাজ‘মারমেইড-৩’।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাতে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের উঠান মাঝির ঘাট এলাকায় জাহাজ দুটি তীরে উঠে যায়। নৌযান দুটি চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় দুই বছর ধরে নোঙর করা অবস্থায় পড়ে ছিল।
জানা যায়, প্রায় দুই বছর আগে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের নির্মাণকাজের জন্য এই বার্জে করে ভারত থেকে বড় পাথর আনা হয়েছিল। এ সময় নাভিমার-৩ টাগবোটে জ্বালানি সরবরাহ করলেও কোনো বিল দেয়নি টাগবোটটির মালিকপক্ষ। আবার নৌযান দুটির স্থানীয় প্রতিনিধি ভিশন শিপিং কোম্পানিও কোনো বিল পায়নি। এ নিয়ে অন্তত পাঁচটি মামলা হয়। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় নৌযান দুটি চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় নোঙর করা ছিল।
ভিশন শিপিং কোম্পানির নিয়োজিত জাহাজটির পাহারাদার (ওয়াচম্যান) মিসকাতুর রহমান বলেন, ‘সাগরে প্রচণ্ড ঢেউয়ের মুখে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নৌযান দুটি উপকূলে আটকা পড়ে।’
এ ছাড়া ঝোড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা উপকূলে আরও দুটি জাহাজ আটকা পড়ে। গত রাতে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা উপকূলে আটকা পড়া জাহাজ দুটি হলো এমভি আল-হেরেম ও বিএলপিজি সুফিয়া। বিএলপিজি সোফিয়া জাহাজটি গত অক্টোবরে এলপিজি গ্যাস স্থানান্তরের সময় বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
(ঢাকাটাইমস/৩০মে/মোআ)

মন্তব্য করুন