পটুয়াখালীতে বিমানবন্দর নির্মাণের জায়গা পরিদর্শনে প্রতিনিধিদল

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মাণ হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর। এ উপলক্ষে শনিবার দিনভর বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) মো. জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল বিমানবন্দর নির্মাণের সম্ভাব্য জায়গা ঘুরে দেখেন।
প্রতিনিধিদলে অন্য সদস্যরা হলেন- বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ফ্লাইট সেফটি) মো. হাবিবুর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আহমেদ জামিল, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক (এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট) মো. শামসুল হক, পরিচালক (পরিকল্পনা) মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আমিনুল হাসিব।
প্রাথমিকভাবে কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া ও গামুরবুনিয়া এবং পার্শ্ববর্তী উপজেলা আমতলীর তারিকাটা ও উত্তর টিয়াখালী মৌজার সাত হাজার একর জমি বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য প্রাথমিক বাছাই করেছেন।
এ সময় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. ওবায়দুর রহমান, কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ, বরিশাল বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক আবদুর রহিম তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া ও গামুরবুনিয়া এবং পার্শ্ববর্তী উপজেলা আমতলীর তারিকাটা ও উত্তর টিয়াখালী মৌজার সাত হাজার একর জমি বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এখানে ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ এবং দুই কিলোমিটার প্রস্থের রানওয়ে নির্মাণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এ উপজেলার একাধিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ দেশের বৃহৎ বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প চলমান রয়েছে। এসব প্রকল্পে বিদেশি অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্মরত রয়েছে। এছাড়া পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় দেশ বিদেশের পর্যটকদের সমাগম কয়েকগুণ বেড়েছে। তাই বড় বড় মেগা প্রকল্প নির্মাণের পাশাপাশি এবার নির্মাণ হবে বিমানবন্দর। এতে খুশি গ্রামবাসী ও জনপ্রতিনিধিরা।
চাকামইয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মজিবর রহমান বলেন, সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পে তারা সবধরনের সহায়তা করবেন। তাদের দাবি বিমানবন্দরের জন্য নির্ধারিত এলাকার মানুষ যাতে যথাযথ সহায়তা ও পুনর্বাসন সুবিধা পায়।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, কুয়াকাটা ও চাকামইয়ার একাধিক স্পট প্রতিনিধিদলটি ঘুরে দেখেছেন। চাকামইয়ায় সরকারি জায়গা বেশি থাকায় এবং ঘনবসতি কম থাকায় এ জায়গা তাদের পছন্দ হয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
(ঢাকাটাইমস/১৮ফেব্রুয়ারি/এআর)

মন্তব্য করুন