বেইলি রোডে আগুনের মামলা থানা থেকে সিআইডিতে হস্তান্তর

রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডে প্রায় অর্ধশত প্রাণহানির ঘটনায় রমনা থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব সিআইডিকে দেওয়া হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যেই এ ব্যাপারে রিপোর্ট দেবে পুলিশের এই অপরাধ তদন্ত বিভাগ।

এর আগে অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগে গত শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে পুলিশ বাদী হয়ে এই মামলা করে। মামলাটি থানা পুলিশ তদন্ত করছিল। তদন্তের শুরুতেই থানা পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন- ভবনের কাচ্চি ভাইয়ের ম্যানেজার জিসান, চা চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক ও শাকিল আহমেদ রিমন এবং গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের ম্যানেজার হামিমুল হক বিপুল।

জানা গেছে, মামলাটি বর্তমানে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করছে। সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলের ১৫টির বেশি আলামত সংগ্রহ করেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) শাহ আলম মো. আখতার ইসলাম বলেন, আগুনের ঘটনায় করা মামলাটি এখন সিআইডি তদন্ত করছে।

এদিকে ভয়াবহ এ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার নেপথ্যের কারণ খুঁজছে ফায়ার সার্ভিস। ইলেকট্রিক কেতলি ও গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এখনো শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যায়নি আসলে আগুনের সূত্রপাত কোথা থেকে। এজন্য সঠিক তদন্তে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে গঠন করা হয়েছে কমিটি।

এরই মধ্যে ঘটনাস্থল থেকে ১৫টির বেশি আলামত সংগ্রহ করেছে সিআইডির ফরেনসিক টিম। সেগুলো পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহেই স্পষ্ট হবে আগুনের নেপথ্যে কী কারণ ছিল।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, ঘটনাস্থলে সিআইডির ফরেনসিক টিম, ডিএনএ টিম ও কেমিক্যাল টিম কাজ করেছে। বেশকিছু আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যেই রিপোর্ট পাওয়া যাবে।

সিআইডি প্রধান বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা যেটা জানতে পেরেছি, গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাতের সম্ভাবনাই বেশি। কেমিক্যালের আলামতও পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে সেখানে বিস্ফোরক জাতীয় কিছু ছিল কি না। আলামত পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আছি। রিপোর্ট পেলেই নিশ্চিত হবে আগুনের কারণ।

(ঢাকাটাইমস/০৭মার্চ/এসএস/ইএস)