জাতিসংঘ মহাসচিবকে এনে রোহিঙ্গা ফেরত পাঠানোর গল্প বলে আইওয়াশ করা হয়েছে: রাশেদ খাঁন

জাতিসংঘের মহাসচিবকে এনে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা ফেরত পাঠানোর মিথ্যা গল্প বলে জনগণের আইওয়াশ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন।
বৃহস্পতিবার রাত পৌণে ১২টার দিকে নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
পোস্টে তিনি বলেন, “যা বুঝতেছি জাতিসংঘের মহাসচিবকে এনে সরকার ওয়াদা করেছে, মানবিক করিডর দিবে এবং প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্ট দিবে।”
তিনি বলেন, “জাতিসংঘের মহাসচিবকে এনে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা ফেরত পাঠানোর মিথ্যা গল্প বলে জনগণের আইওয়াশ করা হলো। বরং উল্টো ভিন্ন চিত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে, এক লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গা ঢুকে পড়েছে! জাতিসংঘের মহাসচিব বাংলাদেশে আসার অর্জন এতোটুকুই। এখন করিডর দেওয়ার নামে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছে।”
গণঅধিকার পরিষদের এই শীর্ষ নেতা আরো বলেন, “আন্তর্জাতিক কমিউনিটির সঙ্গে আমাদেরও কমবেশি বৈঠক হয়। সুতরাং মোটামুটি কোথায় কী হচ্ছে, তা তো জানতে পারি। কিছুদিন আগে বিজনেস সামিট নামে সারা দেশে হৈচৈ তৈরি করা হলো। মনে হলো, বিদেশিরা বিনিয়োগ করার জন্য মুখিয়ে আছে! কিন্তু আসলেই কি তাই? আমার নিজের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আমি বলতে পারি, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ও নির্বাচিত সরকার আসার আগে কোনো বড় বিনিয়োগ আসবে না। ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রহণযোগ্যতার কারণে কমবেশি বিদেশি অনুদান আসবে, কিন্তু বিনিয়োগ আসার সম্ভাবনা কম।”
রাশেদ খাঁন আরো বলেন, “ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সম্মান আছে। তিনি বাংলাদেশে যে কাউকে নিমন্ত্রণ করলে চলে আসবে। কিন্তু ব্যক্তি হিসেবে তাকে সম্মান করা আর বিনিয়োগ করা এক জিনিস না। আর তিনি ব্যক্তি হিসেবে ভালো পারফরম্যান্স করলেও, তার পুরো টিমে যোগ্য লোকের বড্ড অভাব।”
এ প্রসঙ্গে উদ্হরণ দিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের একজন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আছেন, যিনি ব্যাংকিং সেক্টরে অভিজ্ঞ, কিন্তু স্বাস্থ্যখাতে তার অনভিজ্ঞতার কারণে আজকে চিকিৎসা খাতের বেহাল দশা। শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতের কোনো উন্নতি ছাড়া, দেশের বিন্দুমাত্র উন্নয়ন হবে না। আবার কয়েকজন উপদেষ্টার রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ গঠনের সঙ্গে জড়িত থাকারও খবর শোনা যায়। তারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়েও তৎপর নয়।”
(ঢাকাটাইমস/০২মে/এফএ)

মন্তব্য করুন