রোকেয়া হল সংসদের ভিপি প্রার্থী ঈশিতা, গণতান্ত্রিকভাবেই নির্ধারিত হবে হলের সিদ্ধান্ত

হলের শিক্ষার্থীদের খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি হল সংশ্লিষ্ট যেকোনো সিদ্ধান্তে গণতান্ত্রিকভাবে সকলের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে তফসিল ঘোষণা করেছে আসন্ন রোকেয়া হল সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী ঈশিতা এনাম ঋতু।
ঈশিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। এবারের রোকেয়া হল সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র থেকে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখ সারির যোদ্ধা ছিলেন এই শিক্ষার্থী । জুলাইয়ের শুরু থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিটা দিন প্রত্যক্ষভাবে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ ছিলো তার।
এই ভিপি প্রার্থী ঢাকা টাইমসকে বলেন, আমার প্রার্থিতার মূল লক্ষ্য হলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি দাওয়া তুলে ধরা এবং তা বাস্তবায়ন করা। আমি বিশ্বাস করি, শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতি নয়, বরং কার্যকর পদক্ষেপ ও তার বাস্তব প্রমাণই শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জনের উপায়।
ঈশিতা এনাম ঋতু শুরু থেকেই রোকেয়া হলের বিভিন্ন সংস্কারমূলক কার্যক্রমে যুক্ত ছিল । এর মধ্যে হলের মুদি দোকান তদারকি, ক্যান্টিনের দাম সংস্কার ও মানের দিকে নজর রাখা, দর্জির কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনা, হল আইডি কার্ড সংক্রান্ত নিয়ম শিথিলকরণ, লিফট সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহণ, গেস্টরুম শিডিউল সংস্কার, মেয়েদের হলে প্রবেশের অনুমতির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট স্মারকলিপি প্রদানসহ বিভিন্ন কাজে যুক্ত ছিলেন তিনি।
এছাড়াও ঈশিতা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। অনলাইনভিত্তিক নিজের ব্যক্তিগত ব্যবসাও রয়েছে তার। বর্তমানে তিনি রোকেয়া উদ্যোক্তা ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি সোশিওলজিকাল গেমস অ্যান্ড কালচারাল ক্লাব, নারীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন এ্যাক্ট (ACT), নিজ জেলা খুলনা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি, উপজেলা পাইকগাছা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
ঢাকা টাইমসকে তিনি বলেন, আমি ভিপি হিসেবে নির্বাচিত হলে আমার প্রথম দায়িত্ব থাকবে রোকেয়া হলের ছাত্রীদের মৌলিক অধিকার যেমন– মানসম্মত খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা নিশ্চিত করা। শুধু লাঞ্চ আওয়ার নয়, যেকোনো প্রয়োজনে হলের অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা যেন হলে প্রবেশ করতে পারে সেটা নিশ্চিত করবো। বিল্ডিং এক্সটেনশন করে এবং পরবর্তী সেশন থেকে রোকেয়া হলে অ্যালোটমেন্ট কমিয়ে যাতে সিঙ্গেল সিট নিশ্চিত করা যায় সেটা নিশ্চিত করবো। প্রতিটা ফ্লোরে বিশুদ্ধ খাবার পানির ফিল্টারের ব্যবস্থা করবো। হলের প্রতিটা রিডিংরুম ফ্রী ওয়াইফাই জোনের আওতায় আনবো।
এছাড়া সম্পূর্ণ ইশতেহারে তিনি বলেন, রুমমেট ও হল প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে মা ও সহোদর বোন যাতে হলে প্রবেশ করতে পারে সেটি নিশ্চিত করবো। রোকেয়া হলের চামেলি ও শাপলা ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে সিলিং ফ্যান নিশ্চিত করবো। অপরাজিতা ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে একটা রুম সংস্কার করে যাতে রান্নাঘরের ব্যবস্থা করা যায় সেটি নিশ্চিত করবো। হলে একটি ফার্মেসি প্রতিষ্ঠা করবো। হলের অ্যালামনাইরা যাতে পূর্ববর্তী ডকুমেন্টস দেখিয়ে তাদের নিজেদের হলে একবার প্রবেশ করতে পারে সেটি নিশ্চিত করবো। গণতান্ত্রিক মতামতের ভিত্তিতে হলের শিক্ষার্থীরা যেটা চায় সেটা কার্যকর হবে, যেটা উচিত না সেটা কখনোই কার্যকর হবে না।
তিনি আরো বলেন, নিয়মের বেড়াজালে প্রশাসনের কাছে বন্দি হবো না, ইনশাআল্লাহ। আদায় করে নিয়ে আসবো। শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, বাস্তবায়নের প্রমাণ আপনাদের সামনে তুলে ধরাই হবে আমার অগ্রাধিকার।
(ঢাকাটাইমস/২৫ আগস্ট/এএইচ)

মন্তব্য করুন