‘আগুন সৃষ্টিতে সহায়ক’ ও ‘ক্ষতিকর’ অভিযোগে শাবিতে শতাধিক গাছ কাটা

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) ‘আগুন সৃষ্টিতে সহায়ক’ ও ‘পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর’ উল্লেখ করে শতাধিক ‘আকাশমণি’ গাছ কেটে নিলামে বিক্রি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখার তথ্য অনুযায়ী, অন্তত ১০৭টি কাঠগাছ দেড় লাখ টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। গত দুই দিন ধরে চলমান অভিযানে রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত ২২টি গাছ কাটা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখার কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত জানান, পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার ভাষ্য,“আকাশমণি গাছ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। এর পাতায় দাহ্য পদার্থযুক্ত তেল থাকে, যা সহজেই আগুন সৃষ্টি করে। গত শীতেও এ ধরনের আগুনে নিউজিল্যান্ড টিলা ও শহীদ মিনার এলাকার বহু অংশ পুড়ে যায়। অন্তত দশবার আগুন নেভাতে হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি গাছ কাটার বিপরীতে ১০টি ফলদ গাছের চারা রোপণ করা হবে। এছাড়া বাস্কেটবল গ্রাউন্ড বড় করার পরিকল্পনাও রয়েছে, যেখানে মাঠের চারপাশে নতুন গাছ লাগানো হবে।
গাছ কাটার সিদ্ধান্তে আপত্তি তুলেছেন অনেক শিক্ষার্থী। বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ বলেন,“এর আগেও শিক্ষার্থীদের অবগত না করে গাছ কেটেছে প্রশাসন। ক্ষতিকর হলেও এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিক্ষার্থীদের জানানো উচিত। নইলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।”
অন্যদিকে সিলেট বন বিভাগের টাউন রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল্লাহ গণমাধ্যমকে জানান,“বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনো কিছু জানায়নি।”
ফলে গাছ কাটায় আইনগত অনুমতির প্রশ্নে নতুন করে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৫ আগস্ট/আরজেড)

মন্তব্য করুন