ডাকসুর স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমার নিয়ম ভঙ্গ করে রোকেয়া হলে অবস্থান: ক্ষমা চেয়ে প্রভোস্ট বরাবর চিঠি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের পাঁচটি হলের শিক্ষার্থীদের নিজস্ব হল ব্যতিত অন্য হলে প্রবেশ এবং অবস্থানে কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও ডাকসুর 'স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা নিয়মভঙ্গকরে রোকেয়া হলে অবস্থান করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ক্যাম্পাস জুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এরই প্রেক্ষিতে যেহেতু , নিয়ম ভঙ্গ করার দায় স্বীকার করে স্বতন্ত্র এই প্রার্থী রোকেয়া হল প্রাধ্যক্ষ বরাবর ক্ষমা প্রার্থনা করে চিঠি দিয়েছেন।
এতে তিনি বলেন,আমি উমাম ফাতেমা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী এবং কবি সুফিয়া কামাল হায় আবাসিক শিক্ষার্থী, আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক হলের ছাত্রী অন্য হলে যাওয়ার কোনো নিয়ম নেই। তবে বন্ধুদের সাথে থাকার উদ্দেশ্যে অনেক নারী শিক্ষার্থীরা নিয়মের বাইরে গিয়ে হলে প্রবেশ করেন, একইভাবে, রান্ধ শারীরিক ও মানসিকভাবে দীর্ঘদিন আমি-চাপের মধ্যে ছিলাম, কি তাই, বান্ধবীর সাথে রাতে সাকার জন্য 'রাত ১০.০০টার আগেই আমি রোকেয়া হলের প্রবেশ করি। কোনো প্রশর নির্বাচনী প্রচারণার উদ্দশ্যে আমি হলে আসিনি, পরবর্তীতে, রাত ১.৩০টার দিকে আমি রুমের বাইরে বের হই। কিছুক্ষণ পর বান্ধবীর রুমে এসে আমি ঘুমিয়ে যাই। তবে রাত ৩.৩০টার পর আমার বান্ধবীর রুমমেটদের ডাকে আমার ঘুম ভাঙে এবং জানতে পারি আমার রোকেয়া হলের উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে নানান উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার ফেসবুকে ছড়ানো হচ্ছে, আসার ফোনে অনবরত কল আসছিল, আমা আমি জানতে পারি, আমাকে খোঁজার জন্য হাউস টিউটরর। প্রশানে চেষ্টা করছেন, বিষষটি -সব STE ফলে আমার বান্ধবীর রুমে প্যানিক ছবিতে আপনাকে আমি রোকেয়া তৈরি হয়, পরিস্থিতির গভীরতা বিবেচনায়, হলের প্রভোস্ট হিসেবে ফল করি এবং দেখা করি।
যেহেতু হলে অবস্থান করার কোনো নিয়ম নেই তাই হল প্রশাসন ও ছাত্রীদের উপস্থিতিতে আমি এক হলের হাত্রী অন্য হলে অবস্থানসংক্রান্ত নিয়মটি ভাঙার দায় স্বীকার নিচ্ছি, আমার পক্ষ থেকে বলতে পারি, আজ সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কারণে আমি হলে প্রবেশ করেছিলাম, নির্বাচনী প্রচারণার সাথে আমার 'রোকেয়া হলে আগমনের কোনো সম্পর্ক ছিল না। এমনকি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে যে কথাটি ছড়ানো হচ্ছে আমি রাত ২.৩০টায় হলে প্রবেশ করেছি এ সম্পূর্ণ বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর, আমি পুনরায় নিয়মভঙ্গের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। একইসাথে আপনার কাছে আবেদন জানাতে চাই, এক ছাত্রীদের এক হল থেকে অন্য হলে যাতায়াত ফেসবুকে সহজতর করুন। হল/ বিশ্ববিদ্যালয় আইডি কার্ড প্রদর্শন সাপেকে এক হলের মেয়েদের অন্য হলে প্রবেশের অনুমতিদানের অনুরোধ রইল।
(ঢাকাটাইমস/২৫ আগস্ট/এএইচ)

মন্তব্য করুন