মিয়ানমারের পরবর্তী নির্বাচন পরিকল্পনা নিয়ে যা বললেন জান্তা প্রধান 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৯ | প্রকাশিত : ২৫ মার্চ ২০২৪, ১৪:০৪

দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা থাকলে মিয়ানমারে একটি জাতীয় নির্বাচন করার পরিকল্পনা আছে বলে জানিয়েছেন দেশটির বর্তমান শাসক ও জান্তা প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং। কিন্তু এই নির্বাচনটি দেশব্যাপী নাও হতে পারে বলে উল্লেখ করেন এই শীর্ষ জেনারেল। খবর রয়টার্সের।

মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং রাশিয়ার বার্তা সংস্থার তাস-এর একটি সাক্ষাত্কারের বলেছেন, তিন বছর আগে একটি অভ্যুত্থানের পর থেকে ক্ষমতায় থাকা সামরিক বাহিনী এখন দেশটিকে গণতান্ত্রিক শাসনে ফিরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।

মিন অং হ্লাইং বলেন, ‘যদি রাজ্য শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল হয়, তাহলে আইনের অধীনে দেশব্যাপী নির্বাচন না হলেও আমরা যতটা সম্ভব প্রাসঙ্গিক বিভাগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছি।’

যদিও সমালোচকরা এবং পশ্চিমা দেশগুগোলা বলেছে, মিয়ানমারের নির্বাচন একটি জালিয়াতি হবে। কারণ অভ্যুত্থানের পর থেকে ৪০ টিরও বেশি দল বিলুপ্ত হয়ে গেছে এবং নিষেধাজ্ঞামূলক নিয়মের বেড়াজালে নতুন দলগুলো পক্ষে সরকার গঠন করা কঠিন করে তুলেছে।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অং সান সুচির সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল এবং জরুরি অবস্থা জারি করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তবে এই সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি দেশটির সাধারণ জনগণ। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে এলে কঠোর হাতে তাদের দমন শুরু করে সামরিক বাহিনী।

অভ্যুত্থানের পর একই বছরের এপ্রিলেই ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেতৃত্বে নির্বাচনে জয়ী সদস্যরা জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন করে, যাকে সংক্ষেপে বলা হয় এনইউজি। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সদস্যরাও এতে যোগ দেয়। সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে থাকা বিদ্রোহী বাহিনীর সঙ্গে মিলে তারা প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করে এবং সব গোষ্ঠীর সমন্বয়ে তৈরি করে ‘পিপল ডিফেন্স ফোর্স’।

সামরিক বাহিনীর দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ নতুন মাত্রা পায় উত্তরাঞ্চলের তিনটি বিদ্রোহী বাহিনী এক হয়ে আক্রমণ শুরুর পর। ২০২৩ সালের অক্টোবরের শেষের দিকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওপর একজোট হয়ে সুসংগঠিতভাবে হামলা চালায় দেশটির উত্তরের শান রাজ্যের জাতিগতভাবে সংখ্যালঘু তিনটি বিদ্রোহী বাহিনী, যাদের একসঙ্গে ডাকা হচ্ছে ‘থ্রি গ্রুপ অ্যালায়েন্স’ নামে। ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ), তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) এবং আরাকান আর্মি (এএ) নিয়ে এই জোট গঠন করা হয়েছে।

এদিকে অক্টোবরে হামলা শুরু হবার পর থেকে হাজার হাজার সৈন্য তাদের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিদ্রোহী বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। একই সঙ্গে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার দখলে থাকা অনেক শহর ও এলাকা বিদ্রোহীরা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে খবর প্রকাশ হয়েছে।

অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ শহরে সেনাবাহিনীর ব্যর্থতার কারণে ৬৭ বছর বয়সি জান্তা প্রধানের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিদ্রোহীদের কাছে লড়াইয়ে ব্যর্থতার কথা প্রকাশ্যে স্বীকার না করলেও কিছু ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ হারানোর বিষয়টি মেনে নিয়েছে জান্তা সরকার। ফলে বহুমুখি চাপে রয়েছে সেনাবাহিনী।

(ঢাকাটাইমস/২৫মার্চ/এমআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :