সালমান খানের বাড়িতে গুলির ঘটনায় আরও একজন গ্রেপ্তার

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০৭ মে ২০২৪, ১৫:০০
অ- অ+

ভারতীয় সুপারস্টার সালমান খানের মুম্বাইয়ের বাড়ি গ্যালাক্সিকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে ওই ঘটনায় মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। তাদের মধ্যে অনুজ থাপন নামে একজন গত মঙ্গলবার কারাবান্দি অবস্থায় আত্মহত্যা করেন।

এবার যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার নাম মোহম্মদ চৌধুরী। সোমবার রাজস্থান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ। আজ মঙ্গলবার তাকে মুম্বাইয়ে নিয়ে আসা হয়। খুব শিগগির গ্রেপ্তারকৃত মোহম্মদ চৌধুরীকে আদালতে তোলা হবে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে মুম্বাই পুলিশ।

ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, বন্দুকধারীদের অর্থের জোগান দিয়েছিল এই মোহম্মদ চৌধুরী। এমনকি, রেকি (গুলি কখন কীভাবে চালানো হবে সেই পরিকল্পনা) করার দিনও ছিলেন তাদের সঙ্গে।

গত ১৪ এপ্রিল সালমান খানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে গুলি চালায় বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্যেরা। েএদিন সকালে মোটরসাইকেলযোগে এসে অভিনেতার বাড়ির দেয়ালে দুটি গুলি চালায় তারা। ফুটো হয়ে যায় অভিনেতার ফ্ল্যাটের দেয়াল। সে সময় সালমানের বাড়ির সবাই ঘুমাচ্ছিলেন।

এ ঘটনায় নড়েচড়ে বসে মহারাষ্ট্র সরকারসহ মুম্বাই পুলিশ। বিলম্ব না করেই তড়িঘড়ি শুরু হয় তদন্ত। ঘটনার দুই দিনের মাথায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারপর ধরা পড়ে অস্ত্র সরবরাহকারী আরও দুজন অনুজ থাপন ও সোনু বিষ্ণোই। এর মধ্যে অনুজ আত্মহত্যা করেছেন।

গুলিকাণ্ডের পর থেকে কঠোর নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রয়েছেন সালমান ও তার পরিবার। এর আগে কয়েক দফায় বিভিন্ন মাধ্যমে হত্যার হুমকি দেয় গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সদস্যরা। কখনো বাড়িতে চিঠি পাঠিয়ে, কখনো বা ই-মেইলের মাধ্যমে। এরপর চালায় সরাসরি গুলি।

যে কারণে সালমানের প্রতি ক্ষিপ্ত লরেন্স বিষ্ণোই গ্রুপ

১৯৯৮ সালে রাজস্থানের যোধপুরে একটি সিনেমার শুটিংয়ে যান সালমান খান। অভিযোগ, সেখানে একটি কৃষ্ণসার হরিণকে গুলি করে মারেন অভিনেতা। ওই ঘটনায় তখনই বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে একটি মামলা হয়। সেই মামলা এখনো চলমান। যদিও মামলাটিতে স্বস্তিতে সালমান।

কিন্তু বাস্তবে অভিনেতাকে স্বস্তিতে থাকতে দিচ্ছে না লরেন্স বিষ্ণোই ও তার দলের সদস্যরা। কারণ, কৃষ্ণসার হরিণকে বিষ্ণাই সম্প্রদায় ভগবান হিসেবে মানে। তাই তাদের পক্ষ থেকে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই বহুদিন ধরেই সালমানকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলে আসছে।

লরেন্সের কথা, কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে সালমান যদি প্রকাশ্যে ক্ষমা চান, তাহলেই তিনি বেঁচে থাকবেন। নইলে তাকে হত্যা করা হবে। এই ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি একবার চিঠির মাধ্যমে এবং আরেকবার ই-মেইলে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে ভাইজানকে। তারপর চালায় গুলি।

(ঢাকাটাইমস/০৭মে/এজে)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সুনামগঞ্জে পিকআপের ধাক্কায় শিশু নিহত
ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি ২১ মে শুরু
ঈদুল আজহায় ১০ দিন ছুটির সিদ্ধান্ত উপদেষ্টা পরিষদের
আমি ওয়েস্টার্ন পোশাক পরতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি: মিম
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা