২৫০০ ফিলিস্তিনিকে হজে যেতে দিল না ইসরায়েল

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের গণহত্যা এবং গাজাকে মিসরের সাথে সংযুক্তকারী রাফা ক্রসিং দখলে নেওয়ার ফলে এই বছর ২ হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনি পবিত্র হজে যেতে পারেননি বলে জানিয়েছে গাজার এনডাউমেন্টস মন্ত্রণালয়। খবর আনাদোলুর।
বৃহস্পতিবার আনাদোলু এজেন্সিকে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইকরামি আল-মুদাল্লাল বলেছেন, হজে যেতে বাধা সৃষ্টি করা ‘ধর্মীয় স্বাধীনতার স্পষ্ট লঙ্ঘন’।
তিনি বলেন, ইসরায়েলি আগ্রাসন ও যুদ্ধের কারণে মিসর ও সৌদি আরবের মধ্যে দিয়ে পরিবহন চুক্তি স্বাক্ষর এবং মক্কা ও মদিনায় হাজিদের থাকার জায়গা বুকিংসহ হজের স্বাভাবিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারেনি মন্ত্রণালয়।
আল-মুদাল্লাল উল্লেখ করেন, ‘রাফা ক্রসিং বন্ধ করা এবং চলমান সংঘাতে ২ হাজার ৫০০ গাজাবাসী ও সহগামী মিশনগুলোকে হজের জন্য ভ্রমণ করা থেকে বিরত রেখেছে।’
এই দলটি মোট ৬ হাজার ৬০০ ফিলিস্তিনি হজযাত্রীর ৩৮ শতাংশ বলেও জানান তিনি।
আল-মুদাল্লাল জানান, মন্ত্রণালয় সৌদি আরব এবং মিসরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করছে। তারাও এটিকে ফিলিস্তিনি হজযাত্রীদের অধিকারের ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ হিসাবে বর্ণনা করেছে এবং তাদের হজে যাওয়ার বিকল্প উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
তবে তিনি আশ্বস্ত করেছেন, এই বছর ক্ষতিগ্রস্ত হজযাত্রীরা ‘আগামী বছর তাদের হজ করার সুযোগ পাবেন, তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে’। বিশেষ করে গাজা থেকে হজে যাওয়ার সুযোগ পেতে অনেকেই বছরের পর বছর অপেক্ষা করে থাকেন এবং তাদের ৭০ শতাংশই বয়স্ক বা অসুস্থ।
চলতি বছরের শুরুর দিকে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের রাজকীয় আমন্ত্রণে গাজায় নিহত ও আহতদের পরিবার থেকে ৫০০ জনকে হজ করা সুযোগ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেয় সৌদি আরব।
তবে গত ৬ জুন, সৌদি বাদশাহ দেশটির ইসলামিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ ও ওমরাহ অতিথি কর্মসূচির অংশ হিসেবে গাজার নিহত ও আহতদের পরিবারের এক হাজার তীর্থযাত্রীর ব্যতিক্রমী আয়োজনের নির্দেশ দেন।
তবে এই সুযোগ গাজা উপত্যকার বাইরে অবস্থান করা পরিবারগুলোর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল বলে জানান আল-মুদাল্লাল।
উল্লেখ্য, গাজার মানুষ সাধারণত রাফা ক্রসিং দিয়ে প্রথমে মিসর হয়ে সৌদি আরবে যান। তবে গত মে মাস থেকে এই ক্রসিংটি বন্ধ করে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
(ঢাকাটাইমস/১৪জুন/এমআর)

মন্তব্য করুন