টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪: তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট বাংলাদেশি পেসারদের

চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে চার ম্যাচের তিনটিতেই জিতেছে টাইগাররা। আর এতে প্রথমবারের মত আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে ৩ টি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ দল। এই ৩ জয়ে বাংলাদেশ পৌছে গেছে সুপার এইটে। বিশ্বকাপের সুপার এইটে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন পেসাররা। এ কথার বিপরীতে হয়তো খুব কম মানুষই পাওয়া যাবে। পরিসংখ্যানও সে কথাই বলছে। এখন পর্যন্ত যতগুলো ম্যাচ হয়েছে, তাতে উইকেট শিকারে তৃতীয় স্থানে বাংলাদেশি পেসাররা।
এই বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ২৩ উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের পেসাররা। তানজিম হাসান সাকিব ৯, মোস্তাফিজুর রহমান ৭ ও তাসকিন আহমেদ শিকার করেছেন ৭ উইকেট। তিনজনের বোলিং গড় মাত্র ৯.৯৫, ইকোনমি ৪.৮৭। এতেই বোঝা যায়, বাংলাদেশের পেসাররা কতটা ভালো ফর্মে রয়েছেন।
এই তালিকায় ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়াও বাংলাদেশের পেছনে। ২৬ উইকেট নিয়ে সবার শীর্ষে নিউজিল্যান্ডের পেসাররা। ২৪ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে পাকিস্তান। তবে এরইমধ্যে টুর্নামেন্ট থেকে দুদলের বিদায় নিশ্চিত হয়েছে।
ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার পেসাররা নিয়েছেন ২০টি করে উইকেট। ১৯ উইকেট আছে অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের।
বাংলাদেশের স্পিনারদের মধ্যে রিশাদ হোসেন ৭, সাকিব আল হাসান ২ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নিয়েছেন ১ উইকেট। এই তালিকায় বাংলাদেশের স্থান যৌথভাবে তিন নম্বরে। ১০টি করে উইকেট নিয়েছেন আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনাররা। ১৬ উইকেট নিয়ে এই তালিকায় শীর্ষে সহআয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়ার স্পিনাররা নিয়েছেন ১২ উইকেট।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পেসাররা ভালো করছেন, সেই স্বীকৃতি মিলেছে অধিনায়ক শান্তর কাছ থেকেও। নেপালের বিপক্ষে অসাধারণ পেস প্রদর্শনী শেষে তিনি বলেছিলেন, ‘এ পর্বে আমরা যেভাবে খেলেছি, তাতে খুব খুশি। আশা করি আমাদের এমন বোলিং অব্যাহত থাকবে। আমরা ভালো ব্যাট করিনি, রানও বেশি হচ্ছে না। তাও বিশ্বাস করি, আমরা রান ডিফেন্ড করতে পারব। যেভাবে বল করছি, আমরা জানতাম উইকেটও নিতে পারব। ফাস্ট বোলাররা কঠোর পরিশ্রম করছে। সে কারণেই আমরা কিছু ভালো ক্রিকেট খেলেছি। এই ফরম্যাটে বোলিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি ওরা সেটা অব্যাহত রাখতে পারবে।’
(ঢাকাটাইমস/১৮ জুন/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন