পাবনার ঈশ্বরদীতে এক মাসে আট অস্বাভাবিক মৃত্যু 

পাবনার ঈশ্বরদীতে গত এক মাসে আটটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে রয়েছে হত্যা, আত্মহত্যা, নদীতে ডুবে ও সাপের কামড়ে মৃত্যু এবং হাসপাতালে নবজাতকের মৃত্যু।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত ২৭ জুন ঈশ্বরদী উপজেলায় ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত (১৭) এক তরুণের মৃত্যু হয়। সকাল ৭টার দিকে ঈশ্বরদী শহরের লোকোমোটিভ ডিজেল কারখানার সামনে খুলনাগামী আন্তঃনগর সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মাদক সেবনকে কেন্দ্র করে নিখোঁজের সাত দিন পর গত ২৩ জুন ঈশ্বরদী শহরের একটি ছাত্রাবাস থেকে তপু হোসেন (১৭) নামের এক কিশোরের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আগের দিন সন্ধ্যায় ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের পেছনে মশুরিয়াপাড়ার অরণ্য ছাত্রাবাসের তৃতীয় তলার ৩০৫ নম্বর কক্ষে তপুর মরদেহের সন্ধান মেলে। তপু ওই এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে।

অপর এক ঘটনায় আরামবাড়িয়া এলাকায় পদ্মা নদীতে ডুবে মারা যান একজন কৃষক। গত ১৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কোরবানির গরু বাড়িতে আনতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। আবু হোসেন সরদার কালু (৫৫) উপজেলার সাড়া ইউনিয়নের আরামবাড়িয়া গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে।

এর আগে গত ৮ জুন রাত তিনটার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার জমজম স্পেশালাইজড হাসপাতালে ডাক্তারের অবহেলায় জিমু খাতুন (১৯) নামের এক নারীর সন্তান প্রসবকালে নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ করেন স্বজনেরা। জিমু খাতুন লালপুর উপজেলার দুয়ারিয়া ইউনিয়নের মাঝগ্রাম এলাকার সাইদুর রহমানের স্ত্রী। এই বিষয়ে ঈশ্বরদী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জিমুর স্বামী সাইদুর রহমান।

গত ২ জুন পাকশী ইপিজেড এলাকায় স্বামীর ছুরিকাঘাতে মারা যান রিনা বেগম (৩০) নামের এক গৃহবধূ। এদিন সকাল সোয়া সাতটার দিকে ঈশ্বরদী-পাকশী আঞ্চলিক সড়কের পাকশী ইপিজেড মোড়ের সামনে পাকা রাস্তায় ওপরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্বামী মিলন মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।

গত ৩১ মে কলাবাগানে কাজ করার সময় রাসেলস ভাইপার সাপের কামড়ে হাফিজুর রহমান (৪৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়। হাফিজুর রহমান উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের দীঘা গ্রামের আফসার হোসেন খানের ছেলে। একই দিন সুমনা খাতুন (১৯) নামের এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সুমনা খাতুন মহাদেবপুর গ্রামের মো. সম্রাট হোসেনের স্ত্রী ও পৌর শহরের ইস্তা এলাকার সুজন হোসেনের মেয়ে।

(ঢাকাটাইমস/৩জুলাই/মোআ)