চীনে ভোজ্য তেলে দূষণ কেলেঙ্কারি নিয়ে সমালোচনার ঝড়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১১ জুলাই ২০২৪, ১৬:০২
অ- অ+

চীনে যে জ্বালানি ট্যাঙ্কারে বিষাক্ত রাসায়নিক বহন করা হয়েছে, সেই ট্যাঙ্কার ঠিকঠাক পরিষ্কার না করেই তাতে ভোজ্যতেল পরিবহন করা হয়েছে - এমন এক খবর নিয়ে এই মূহুর্তে চীন উত্তাল। চীনা সরকার বলেছে, তারা এ অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু করতে যাচ্ছে।

চীনের রাষ্ট্র-পরিচালিত সংবাদপত্র বেইজিং নিউজ বলছে, জ্বালানি পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত ট্যাঙ্কারগুলোতে ভোজ্যতেল ও সিরাপের মতো খাদ্যপণ্য পরিবহন করতে দেখা গেছে এবং সেসব ট্যাংকার ভালোভাবে পরিষ্কার করা হয়নি।

বেইজিং নিউজে একজন ট্যাংকার চালকের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, দূষিত জ্বালানি বহনকারী ট্র্যাকগুলোতে ভোজ্যতেল পরিবহন করার রীতি এত বেশি ছিল যে, একে ‘ওপেন সিক্রেট’ হিসাবে বিবেচনা করা হতো।

সাম্প্রতিক সময়ে তেল নিয়ে এই বিতর্ক চীনা সোশ্যাল মিডিয়ার শীর্ষ ট্রেন্ডিং-এ উঠে এসেছে। দেশটিতে চলমান এই তেল কেলেঙ্কারি নিয়ে চীনা মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম ওয়েইবোতে কয়েক হাজার পোস্ট করা হয়েছে, যা লক্ষ লক্ষ মানুষ দেখেছে।

‘খাদ্য নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়’, এই মন্তব্যে আট হাজারের বেশি লাইক পড়েছে। অন্য একটি মন্তব্যে বলা হয়েছে, "একজন সাধারণ মানুষ হিসাবে এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকাটাই এক বিস্ময়কর বিষয়।”

অনেকে এটিকে ২০০৮ সালের সানলু গুঁড়াদুধ কেলেঙ্কারির সঙ্গে তুলনা করেন। শিল্প কারখানার উচ্চ মাত্রার রাসায়নিক মেলামাইন মিশ্রিত ওই দূষিত গুঁড়াদুধ পান করার কারণে প্রায় তিন লাখ শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং কমপক্ষে ছয়জন মারা যায়।

একজন ওয়েইবো ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, ‘এটি সানলু কেলেঙ্কারির চেয়েও অনেক খারাপ। কেবলমাত্র বিবৃতি দিয়ে এটির নিষ্পত্তি করা যায় না৷’

চীনে ট্যাঙ্কারে পরিবহনের জন্য নির্দিষ্ট পণ্যের তালিকা নেই, অর্থাৎ কেবলমাত্র নির্দিষ্ট একটি বা দুইটি পণ্য পরিবহন করা যাবে, তেমন কোনও নিয়ম নেই। এই দৃষ্টিকোন থেকে দেখলে, কয়লাভিত্তিক তেল পরিবহনের পর পরই ওই ট্যাঙ্কারে সরাসরি খাদ্য পরিবহন করতে বাধা নেই।

এখন এই বিতর্ক শুরুর পর বলা হচ্ছে, চীনের একাধিক বড় বড় কোম্পানিও এই বিষয়ের সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সিনোগ্রেইনের একটি সহায়ক সংস্থা এবং হোপফুল গ্রেইন অ্যান্ড অয়েল গ্রুপ।

এদিকে সিনোগ্রেইন বলেছে, যে খাদ্য নিরাপত্তা বিধি সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা, তারা সেটির তদন্ত করছে।

সংস্থাটি আরও বলেছে, যে যেসব ট্রাক নিয়ম ভেঙ্গেছে, সেগুলোকে অবিলম্বে সাসপেন্ড অর্থাৎ নিয়মিত কাজ থেকে বিরত করা হবে।

এছাড়া হোপফুল গ্রেইনের একজন প্রতিনিধি সরকার-নিয়ন্ত্রিত সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমসকে বলেছেন, তারা নিজেরাও বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

চীনা সরকার বলেছে, দেশটির খাদ্য নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এই অভিযোগের তদন্ত করবেন। একইসঙ্গে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত যেকোনও কোম্পানি ও ব্যক্তিকে শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সূত্র: বিবিসি

(ঢাকাটাইমস/১১জুলাই/এমআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বাংলাদেশের হয়ে খেলতে ফিফার অনুমতি পেলেন সামিত সোম
এপ্রিলে ৫৬৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৮৩, শীর্ষে মোটরসাইকেল
সাবেক মন্ত্রী তাজুলসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
হাসিনামুক্ত বাংলাদেশে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে বরণ করেছি, এরচেয়ে বড় প্রাপ্তি নেই: মাহাবুবুল হক নান্নু
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা