চুয়াডাঙ্গায় পাটের বাম্পার ফলন, তবে জাগ দেওয়া নিয়ে শঙ্কা

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৯ জুলাই ২০২৪, ১১:১৩
অ- অ+

আষাঢ় পেরিয়ে শ্রাবণের মাঝামাঝি। তবুও পর্যাপ্ত বৃষ্টির দেখা নেই। এ বছর চুয়াডাঙ্গায় পাটের বাম্পার ফলন হলেও আশানুরূপ বৃষ্টি না হওয়ায় জাদ দেওয়া নিয়ে কৃষকদের কপালে চিন্তার ভাজ। দীর্ঘক্ষণ ধরে মুষলধারে বৃষ্টি না হওয়ায় খালবিল, নদীনালা, হাওড়-বাওড়গুলো পানিতে ভরাট হচ্ছে না।

এলাকার বিভিন্ন ফসলি জমির মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, পাট গাছগুলো বেশ বড় হয়ে গেছে। সপ্তাহখানেক পর থেকে কেটে পঁচানোর জন্য পানিতে জাগ দেওয়া শুরু করবেন চাষিরা।

কিন্তু এলাকার পুকুর, খালবিল, নদীনালা, ছোট-বড় জলাশয়ে পাট জাগ দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত পানি না থাকায় বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করছেন চাষিরা।

চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার তালতলা গ্রামের পাটচাষি আবু হোসেন বলেন, ‘ভুট্টা কাটার পর দেড় বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। পাটগাছ আল্লাহর রহমতে ভালোই হয়েছে। কিন্তু জাগ দেওয়া নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি। যদি পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হয় তাহলে গাড়ি ভাড়া করে নদীতে নিয়ে পাট জাগ দিতে হবে। এতে খরচ অনেক বেশি পড়ে যাবে। পাট চাষে এমনিতেই শ্রমিক খরচ বেশি লাগে। অতিরিক্ত খরচ হলে লাভের মুখ দেখতে পারব না।’

জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামের পাটচাষি আবু সাঈদ বলেন, ‘কাঁটাখালী মাঠে এবার দুই বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। পাট ভালো হলেও পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় জাগ দেওয়া নিয়ে খুব চিন্তায় আছি। সপ্তাহ খানেক পরে পাট কাটা শুরু করব। এর মধ্যে বৃষ্টি না হলে সমস্যায় পড়ে যাবো। স্যালো মেশিনের সাহায্যে গর্ত বা খালে পানি দিয়ে পাট পঁচানোর জন্য জাগ দিলে খরচ অনেক বেশি পড়ে যায় এবং পাটের রং উজ্জ্বল না হওয়ার কারণে ভালো দাম পাওয়া যায় না।’

একই উপজেলার আরেক পাটচাষি জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পাট অনেক ভালো হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি না হওয়ায় খুব চিন্তায় আছি। যদি পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হয় তাহলে পাট গাছগুলো শুকিয়ে পাটখড়ি করা ছাড়া আর উপায় থাকবে না।’

সোনালী আঁশের সোনালী স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে এলাকার খাল, বিল ও বাওড়গুলো পাট জাগ দেওয়ার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে পাটচাষিরা।

এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাষ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘পানির অভাবে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে কৃষকদের মাঝে শঙ্কা আছে। তাই আমরা চাষিদের রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাটের আঁশ ছাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছি। এ পদ্ধতিতে পাট পঁচালে আঁশের মান ভালো থাকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সামনে বৃষ্টি-বর্ষায় নদ-নদী আর খালে পানি বাড়লে হয়তো এ সমস্যা কিছুটা কেটে যাবে। সবকিছু মিলিয়ে আমরা আশা করছি এ জেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।’

(ঢাকাটাইমস/২৯জুলাই/এজে)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে জুনে শ্রীলঙ্কা সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ
কলাবাগান ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় নতুন ওসি
শরীয়তপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু
হিথ্রো বিমানবন্দরে খালেদা জিয়া, গাড়ি চালিয়ে নিয়ে গেলেন তারেক রহমান
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা