প্রস্তাবিত শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দরপত্র বাতিল: বিসিবি

প্রস্তাবিত শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দরপত্র বাতিল করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। রাজধানীর পূর্বাচলে নৌকার আদলে এই স্টেডিয়ামের নকশা করা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার বিসিবির নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদের অধীনে মিরপুরে বোর্ডের প্রথম সভায় দরপত্র বাতিলের এ সিদ্ধান্ত আসে। এছাড়াও দুর্নীতি ও অনিয়ম তদন্তে স্বাধীন অডিট করতে একটি ফার্ম গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবি।
শেষে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমাদের সব কাজ করতে হবে, কাজ ঠিক রেখেই। যে অসংলগ্নতা, দুর্নীতি, খারাপ কাজ হয়েছে সেগুলো আমরা সরাব। তার সাথে ক্রিকেটের উন্নতির জন্য কাজ করব। তাই আমি সব বন্ধ করে একদিকে যেতে পারব না।’
পূর্বাচলের এই স্টেডিয়ামের নাম ও নকশা বদলে যাচ্ছে বলে দুদিন ধরেই খবর হয়েছে সংবাদমাধ্যমে। এরই পদক্ষেপ হিসেবে দরপত্র বাতিল করা হলো। দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ৩০ আগস্ট।
এই স্টেডিয়ামকে ঘিরে দুটি মাঠসহ পূর্ণাঙ্গ ক্রিকেট কমপ্লেক্স গড়ে তোলার জন্য ২০১৯ সালে সরকারের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে মাত্র ১০ লাখ টাকায় প্রায় সাড়ে ৩৭ একর জমি পায় বিসিবি। যে জমির দাম এখন ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকারও বেশি বলে ধরে নেওয়া হয়।
তবে করোনা মহামারিসহ নানা কারণে গত পাঁচ বছরে স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজের তেমন কিছুই এগোয়নি। গত মার্চে জানা যায়, দুটি টার্ফের উইকেটসহ মাঠ রক্ষণাবেক্ষণ এবং প্রকল্প কার্যালয় নির্মাণে প্রায় দুই কোটি টাকা সেখানে ব্যয় করেছে বিসিবি।
এর বাইরে পূর্বাচলে বালু নদের তীরে ৪৫ হাজার ধারণক্ষমতার স্টেডিয়াম তৈরির উদ্দেশ্যে অস্ট্রেলিয়ার কনসালটেন্সি ফার্ম পপুলাসকে নিয়োগ দেয় বিসিবি, যাদের পরামর্শ ফি হিসেবে ৭৬ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ছিল।
তবে গত দুদিনে অনেক সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে, ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার আগ পর্যন্ত বিসিবি আপাতত স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে চায়। এই স্টেডিয়ামের জায়গায় মাঠ-উইকেট বানিয়ে যাতে ঘরোয়া ক্রিকেটের খেলা অন্তত চালানো যায়, সেই ব্যবস্থাও করতে চায় বিসিবি।
(ঢাকাটাইমস/২৯আগস্ট/এলএম/এসআইএস)

মন্তব্য করুন