সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে থেমে নেই চাঁদাবাজি

রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের দখল নিতে গিয়ে সাধারণ শ্রমিকদের সঙ্গে দখলবাজদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এলে চাঁদাবাজরা পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পরিবহন চাঁদাবাজ আলমগীর, মিজান ভান্ডারী ও হুমায়ুনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল দখল করতে আসেন। তারা বিভিন্ন কাউন্টারে কর্মরত কর্মচারীদের তাদেরকে চাঁদা দিতে হবে বলে শাসাতে থাকেন।
এসময় সাধারণ শ্রমিকরা প্রতিবাদ করলে তাদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা টার্মিনাল এলাকায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে দখলবাজদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের পরও থেমে নেই চাঁদাবাজি। এ বিষয়ে সাধারণ পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা বলেন, আলমগীর, হুমায়ুন ও মিজান ভান্ডারী—তিনজনই চিহ্নিত চাঁদাবাজ। গত সরকারের আমলে তারা চাঁদাবাজি করে প্রত্যেকেই যাত্রাবাড়ীসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চার-পাঁচটি করে বাড়ির মালিক হয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঙ্গে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে চাঁদাবাজির অন্যতম হোতা আলমগীরের (ছবিতে গোল চিহ্নিত) গভীর সখ্য রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২সেপ্টেম্বর/এফএ)

মন্তব্য করুন