ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান কোন স্ট্যাটাসে, এখনো জানতে চায়নি সরকার
দেশ ছাড়ার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান প্রায় দেড় মাস হতে চলল। তবে শেখ হাসিনা কোন স্ট্যাটাস নিয়ে ভারতে অবস্থান করছেন তা এখন পর্যন্ত দেশটির কাছে জানতে চায়নি অন্তর্বর্তী সরকার।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন মঙ্গলবার এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইওএম মিশন প্রধানের বিদায়ী সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা অফিশিয়ালি কিছু জানি না। শুরুতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যা জানিয়েছেন, সেটিই জানি। যেটুকু বলেছিলেন, শুরুতে তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘তিনি এসেছেন (শেখ হাসিনার) খুব তাড়াতাড়ি তাকে… আশ্রয় দেয়া হয়েছে’। আমি কোনো অফিশিয়ালি কিছু তাদের বলিনি।
পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তিনি (শেখ হাসিনা) কোন প্রক্রিয়ায় সেখানে অবস্থান করবেন জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘সবকিছু আইন দিয়ে চলে না। অনেকে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে দুই বছর থেকে আসছে। তাদের কি ৪৫ দিনের মধ্যে সব সুযোগ শেষ হয়ে গেছে, হয়নি। ভারত সরকার ওনাকে আশ্রয় দিয়েছেন, ওনি ওখানে থাকছেন। আমাদেরকে এটা এভাবে দেখতে হবে, দিনক্ষণ না গুনে।’
উল্লেখ্য, প্রবল গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে সেখানেই অবস্থান করছেন তিনি, তার সঙ্গে রয়েছেন ছোট বোন শেখ রেহানা। ইতোমধ্যেই শেখ হাসিনার ডিপ্লোম্যাটিক/অফিশিয়াল পাসপোর্ট বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
এদিকে গত প্রায় দেড় মাসের শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেড় শতাধিক মামলা হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১৪৫টির বেশি হত্যা মামলা। এরই মধ্যে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন।
এর আগে, চলতি মাসের শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, ‘আদালত চাইলে ভারতে অবস্থারত শেখ হাসিনাকে ফেরানোর উদ্যোগ নেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে ফেরত দেওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে দিল্লির ওপর।’
(ঢাকাটাইমস/১৭সেপ্টেম্বর/এমআর)