বাংলাদেশের সিনিয়র ক্রিকেটারদের কঠোর সমালোচনায় মাঞ্জরেকার

সাদা পোশাকে নতুন এক বাংলাদেশকে দেখেছিল ক্রিকেটবিশ্ব। পাকিস্তানের মাটিতে তাদের হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়েছিল টাইগাররা। তবে এক মাসের মধ্যে মুদ্রার দুই পিঠ দেখে ফেলল বাংলাদেশ দল। পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ করার পর ভারতের মাটিতে নিজেরাই হোয়াইটওয়াশড হলেন নাজমুল হোসেন শান্তরা।
তার চেয়েও বড় কথা, ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ এতটাই বাজে ছিল যে- চারদিক থেকে সমালোচনাই জুটছে। সঞ্জয় মাঞ্জরেকারও যোগ দিলেন সমালোচকদের দলে।
চেন্নাই টেস্টে চারদিনে হেরেছে বাংলাদেশ। আর কানপুর যা হয়েছে, সেটা রীতিমতো লজ্জার। বৃষ্টিতে আড়াই দিনের বেশি সময় ভেসে গেলেও স্রেফ ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৭ উইকেটে হারে বাংলাদেশ। দুই দিনেও যে টেস্ট হারা যায়, এর চেয়ে বড় প্রমাণ আর কী হতে পারে! এই সিরিজটা বাংলাদেশকে বাস্তবতা বুঝিয়েছে বলে মনে করেন মাঞ্জেরেকার।
ভারতের ক্রিকেটার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার বাংলাদেশ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন তাদের নিয়েই। পুরো সিরিজে তাদের নিষ্প্রাণ ব্যাটিং সিনিয়রসুলভ ছিল না বলেই মন্তব্য তার, ‘লিটন, মুশফিকুর, সাকিব যেভাবে ব্যাটিং করেছে, আমরা তেমন কিছু দেখিনি। তাদের অ্যাপ্রোচ দেখে তাদের কখনো হুমকি বলে মনেই হয়নি। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে শুরুতে মুশফিক হয়তো ভালো খেলেছে। তবে এরপর মনে হয়েছে, ভারতকে চাপে ফেলার জন্য লড়াই করার বিশ্বাস ছিল না তাদের। এই কাজটাই সিনিয়র ক্রিকেটারদের করতে হয়।’
ইএসপিএনক্রিকইনফোতে কথা বলার সময় সিনিয়র ক্রিকেটারদের দায়ী করে মাঞ্জরেকারের মন্তব্য, ‘আমার মনে হয় না খুব বেশি পরিবর্তন প্রয়োজন। তবে অবশ্যই সামনে এগোতে হলে কিছু জায়গায় তাদের কাজ করতে হবে। সিনিয়র ক্রিকেটাররা যারা অনেক ম্যাচ খেলেছে, দেশে যারা বড় সুপারস্টার, বড় ব্র্যান্ড, আপনাদের এত মনযোগ প্রাপ্য কি না, সেটা দেখানোর সময় ছিল এটা।’
মাঞ্জরেকার সরাসরিই বললেন বাংলাদেশ বাস্তবতা চিনেছে এই সিরিজ থেকে, ‘আমার মনে হয় বাংলাদেশ বাস্তবতা বুঝেছে। তারা টেস্ট ক্রিকেটে নিজেদের সেরা সময়ে থাকতেই এখানে এসেছিল। কিছু ভালো দলের বিপক্ষে ঘরের মাঠে তারা জিতেছে, পাকিস্তানকে তাদের দেশের মাটিতে হারানো তো অনেক বড় অর্জন।’
ভারতের বিপক্ষে দুই টেস্টের এই সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৪ ইনিংস থেকে তার ব্যাটে এসেছে ১৫২ রান। এছাড়া ১০০ রান পার করেছেন আর দুজন। ১ সেঞ্চুরি করেও মুমিনুল হক পুরো সিরিজে করেছেন মোটে ১২২ রান। ওপেনার সাদমান তার এক ফিফটির সুবাদে সিরিজে পেয়েছেন ১১১ রান। চারে থাকা মুশফিকের রান মাত্র ৬৯।
(ঢাকাটাইমস/০২ অক্টোবর/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন