কতটা বিপদে পড়ল আওয়ামী লীগ

শেখ হাসিনার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর দলটির ভিতরে এমন প্রশ্নই দানা বাঁধছে। গত ৫ আগস্ট পতনের পর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা একের পর এক পালিয়ে যাওয়ার পরে তৃণমূলে যে হতাশা, আতঙ্ক দানা বেঁধেছিল তা আরো যেন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।
সর্বশেষ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাসহ দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ কয়েকজন নেতার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করায় চরম হতাশা নেমে এসেছে আওয়ামী লীগের সব মহলে।
ঢাকা টাইমস চেষ্টা করেছিল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলার। কিন্তু দায়িত্বশীল কোনো নেতাকে পাওয়া যায়নি। বিস্ময়কর হচ্ছে, যখন সারাদেশে যৌথবাহিনী একের পর এক আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী, এমপি, কেন্দ্রীয় নেতা এবং তৃণমূল পর্যায়ের অনেককে গ্রেপ্তার করছে তখনও চুপ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব।
আর সেই শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে যখন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলো তখন দলটি কীভাবে নিজেদের রাজনৈতিক মাঠে নিয়ে আসবে সেটাই প্রশ্ন। আরও প্রশ্ন সহসাই কি আওয়ামী লীগ স্বাভাবিক রাজনীতিতে সক্রিয় হতে পারবে?
প্রশ্ন উঠেছে, আওয়ামী লীগের যেসব কেন্দ্রীয় নেতা আত্মগোপনে আছেন, দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন তারা কি সহসা দেখা দেবেন? তারা কি নেতাকর্মীদের এই ঘোর বিপদে তাদের পাশে থাকবেন? যদি না থাকেন তাহলে কীভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখে আওয়ামী লীগ?
যদিও আওয়ামী লীগের শুভাকাঙ্ক্ষীদের কেউ কেউ মনে করছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের গত আড়াই মাসের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপে জনসাধারণের মধ্যে হতাশা আছে। তাই সাধারণ মানুষ যখন আরও সাহস করে মুখ খোলা শুরু করবে তখন হয়তো আলোর দিশা পাবে আওয়ামী লীগ।
এমনকী মনে করা হচ্ছে, বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললে হয়তো আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার একটা প্রেক্ষাপট তৈরি হবে।
কিন্তু বিএনপিসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তবর্তী সরকারের মতপার্থক্য কমে এলে, আওয়ামী লীগ ব্যতীত অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের সমঝোতা আরও বেশি হয়, সেইক্ষেত্রে কী করবে আওয়ামী লীগ? এমন আলোচনা এখন রাজনৈতিক মহলে।
এই সংকট থেকে আদৌ বের হতে পারবে আওয়ামী লীগ? আদৌ রাজনীতির মাঠে খুব সহসা দেখা মিলবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটির? এই প্রশ্নের উত্তর কি সহসা পাওয়া যাবে? এখনই সিদ্ধান্তে যেতে চান না রাজনীতি বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, দেখা যাক শেষমেশ কি হয়।
(ঢাকাটাইমস/১৭অক্টোবর/এআরডি)

মন্তব্য করুন