মুসলিম বিশ্ব ঐক্যবদ্ধ হলেই ইসরায়েলের মহাস্বপ্ন ভেঙে খানখান!

ঢাকা টাইমস ডেস্ক
  প্রকাশিত : ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:৩৪| আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:৪১
অ- অ+

অবশেষে ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার দিবাগত রাতে রাজধানী তেহরানের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।

এর আগে পহেলা অক্টোবর ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে প্রায় ইরানের দুই শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছিল। তার প্রায় ২৫ দিন পর মধ্যপ্রাচ্যের দখলদার জায়নবাদী ইসরায়েল ইরানে হামলা চালালো।

ইরানে হামলা চালানোর সময় ইসরায়েলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট তেল আবিবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদরদপ্তরে একটি ভূগর্ভস্থ কক্ষ বা বাংকারে লুকিয়ে ছিলেন।

এদিকে ইরানের ওপর ইসরায়েলের এ হামলার সঙ্গে তারা জড়িত নয় বলে বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গভীরভাবে এই ঘটনা নজর রাখছেন।

এমন এক সময়ে ইসরায়েল ইরানে হামলা চালালো, যখন এক বছর ধরে টানা হামলা চালিয়ে গাজা প্রায় ধুলিস্যাৎ করে দিয়েছে দখলদার এই ইহুদিবাদী দেশটি। হত্যা করেছে ৯ হাজারের বেশি শিশুসহ কমপক্ষে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। আর সম্প্রতি হিজবুল্লাকে ঠেকাতে লেবাননেও ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে দেশটি।

গাজায় হামাস আর লেবাননে হিজবুল্লাকে ধ্বংস করাই মধ্যপ্রাচ্যে উড়ে এসে জুড়ে বসা ইসরায়েলের প্রধান লক্ষ্য। এ লক্ষ্যের পেছনে কাজ করছে তাদের একটি মহাস্বপ্ন। সেটি হচ্ছে কয়েকটি আরব দেশ দখল করে গ্রেটার ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা করা।

ইসরায়েল এরইমধ্যে গাজায় হামাস ও লেবাননে হিজবুল্লাহর প্রধানকে হত্যা করেছে। কিন্তু জায়নবাদীদের প্রধান বাধা মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম পরাশক্তিধর দেশ ইরান। গত কয়েক দশক ধরেই ইসরায়েলের দুঃস্বপ্ন ইরান।

তবে দুঃখজনকভাবে, আরব দেশগুলো যেমন সৌদি আরব বা জর্ডান, আর মিশরের মতো প্রভাবশালী দেশগুলোর কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলের ব্যাপারে নমনীয়। তবে এসব দেশের মুসলিম-খ্রিস্টানরা বরাবরই ইসরায়েলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে রয়েছে।

ইসরায়েল নিয়ে আরব দেশগুলোর এই নমনীয় অবস্থান বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশের ওপর প্রভাব ফেলেছে। এমন অবস্থার মধ্যে সম্প্রতি ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ইসরায়েলকে মোকাবিলায় বিশ্বের সকল মুসলিমদের ঐক্যের ওপর জোর দিয়েছেন।

সৌদি আরবসহ মুসলিম দেশগুলোকে তেহরান ‘ভাই’ হিসেবে দেখে বলে সম্প্রতি সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদকে বলেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট।

তিনি বলেছিলেন, সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইসরায়েলের আগ্রাসনের মোকাবিলা না করলে আগামীতে অন্যান্য মুসলিম শহর ও দেশ গাজা ও লেবাননের মতো হতে পারে।

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মুসলিম প্রধান দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করতে ইরানের প্রচেষ্টা নতুন নয়। ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বন্ধ করার জন্য মুসলিম দেশগুলোকে প্রায় আহ্বান জানিয়ে আসছে শিয়াপ্রধান দেশটি।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও জার্মানির মতো দেশগুলো ইসরায়েলের পাশে রয়েছে শুরু থেকেই। শুধু তাই নয়, ফিলিস্তিনের অস্তিত্ব মুছে দিতে যুদ্ধবাজ ইসরায়েলকে তারা নানাভাবে সাহায্যও করছে।

এমন প্রেক্ষাপটে মধ্যপ্রাচ্যের দানব ইসরায়েলে পা ভেঙে দিতে আসলেই মুসলিম বিশ্বের ঐক্যের বিকল্প নেই। ইরানের ওপর হামলার পর তারা কেমন জবাব দেবে তার ওপর নির্ভর করছে ইসরায়েলের এই গায়ে পড়া যুদ্ধ কোন দিকে মোড় নেবে।

(ঢাকাটাইমস/২৬অক্টোবর/ডিএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
কৃত্রিম চিনি জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়ায়, বিকল্প হিসেবে যেসব খাবার খাবেন
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৩ জন নিহত
থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় দুই পুলিশকে সন্দেহভাজন আসামির হাতুড়িপেটা
ভেষজ দেশি গাব ক্যানসার ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকর
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা