কমনওয়েলথের নতুন মহাসচিব হলেন ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশভুক্ত বেশিরভাগ স্বাধীন ৫৬ সদস্য রাষ্ট্রের সংস্থা কমনওয়েলথের নতুন মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী শার্লি আয়োরকর বচওয়েক।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র সামোয়াতে কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে (সিএইচওজিএম) বচওয়েকে সংস্থার নতুন মহাসচিব ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার শীর্ষ সম্মেলন শেষ হয়।
বর্তমান মহাসচিব ডোমিনিকান রাষ্ট্রের ব্যারনেস প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ডের স্থলাভিষিক্ত হবেন ৭ম মহাসচিব হিসেবে নব্য নির্বাচিত আয়োরকর বচওয়ে। এ পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী তিন প্রার্থীর অন্যতম ছিলেন বচওয়ে। প্রার্থীরা ঔপনিবেশিকতার উত্তরাধিকার মোকাবিলায় ব্রিটেনের আহ্বানকে সমর্থন করেছেন।
একজন সাবেক আইন প্রণেতা বচওয়ে বিগত সাত বছর ধরে ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ঘানার দুই বছর মেয়াদের সময়টি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ঘানার এই মেয়াদ শেষ হয়।
তিনি কমনওয়েলথ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির খসড়াকে সমর্থন করেছেন। এর আগে তিনি বলেছেন যে, তিনি ক্ষতিপূরণের দাবি করবেন।
তিনি এই বছরের শুরুর দিকে লন্ডনে একটি অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আর্থিক ক্ষতিপূরণই সবচেয়ে ভালো হবে।’
একজন কমনওয়েলথ মহাসচিব সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে চার বছর দায়িত্ব পালন করতে পারেন। বর্তমানে ডোমিনিকান ব্যারনেস প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড এ দায়িত্বে রয়েছেন।
নিয়ম অনুসারে, মহাসচিবের ভূমিকাটি কমনওয়েলথের চারটি ভৌগোলিক ব্লক– প্রশান্ত মহাসাগর, এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকায় আবর্তিত হয়। সে অনুসারে এবার আফ্রিকার পালা।
তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘আমাকে কমনওয়েলথের পরবর্তী মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত করার জন্য কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের অবিচল সমর্থনের জন্য আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ।’
কমনওয়েলথ গণতান্ত্রিক শাসন, বাণিজ্য সহযোগিতা, শিক্ষা, জলবায়ু সমর্থন ও আর্থিক ব্যবস্থার স্বচ্ছতা প্রচার করে। বর্তমানে এর নেতৃত্বে আছেন ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস। তবে মহাসচিব লন্ডনভিত্তিক সচিবালয়টি পরিচালনা করে থাকেন।
(ঢাকাটাইমস/২৬অক্টোবর/এমআর)

মন্তব্য করুন