শ্রমিকলীগ সভাপতি নাছিরকে গ্রেপ্তারে ফরিদপুরে সমন্বয়কদের আল্টিমেটাম

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও হত্যার একাধিক মামলার আসামি ফরিদপুর জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি গোলাম নাছিরসহ প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানো হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আলটিমেটাম দিয়েছেন ফরিদপুরের ছাত্র সমন্বয়কেরা।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের পাশে পুনাক রেস্টুরেন্টের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এই আলটিমেটাম দেন ফরিদপুরের অন্যতম ছাত্র সমন্বয়ক সোহেল রানা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউশনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত সভায় প্রকাশ্যে পলাতক আসামি গোলাম নাছির ও ফরিদপুর জেলা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি জুবায়ের জাকির বক্তব্য দেন। তারা দুজনই শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতা।
ওই বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রহিম বক্স দুদু। প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমন্বয়ক ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
এমন একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ছাত্র–জনতার আন্দোলনে সরাসরি হামলায় অংশ নেওয়া ফরিদপুর জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি, পুলিশের তালিকাভূক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী গোলাম নাছির ও জুবায়ের জাকির। বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না ফরিদপুরের ছাত্র সমন্বয়করা। তাদের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে এই আল্টিমেটাম দেন ছাত্র সমন্বয়কেরা।
সমন্বয়ক সোহেল রানা অভিযোগ করেন, এই নাছির ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরাসরি তার বাহিনী নিয়ে হামলায় অংশ নেন। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকা সত্ত্বেও হামলাকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে নাছিরসহ হামলা কারীদের দৃশ্যমান গ্রেপ্তার দেখাতে না পারলে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে আমরণ অনশনে বসব আমরা।’
শুধু নাছির একা নন, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করতে দেখা গেছে জেলা শ্রমিক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. জুবায়ের জাকিরকে। পুলিশ খুঁজে না পেলেও এমন একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে দেখে হতবাক ফরিদপুরের সাধারণ মানুষ ও ছাত্র সমাজ।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে সমন্বয়ক আবরার নাদিম ইতু, নিরব ইমতিয়াজ শান্ত, মেহেদী হাসান হৃদয়, সাজিদ খান, আবু নাঈম, জেবা অতশি, সিফাত, ওয়ালিদ, আশরাফ, তাহসিন, আশিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলায় যারা জড়িত, তাদের অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১৯জানুয়ারি/মোআ)

মন্তব্য করুন