যুদ্ধবিরতি চুক্তি: তিন ইসরায়েলির বিপরীতে মুক্তি পেল ৯০ ফিলিস্তিনি

ঢাকা টাইমস ডেস্ক
  প্রকাশিত : ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৪| আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৮
অ- অ+

যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ৯০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে দখলদার ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল। তার আগে তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। তিনজনই তরুণী। দীর্ঘ ১৫ মাস রক্তক্ষয়ের পর রবিবার থেকে গাজায় কার্যকর হয় বহুল প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি।

এদিন ইসরায়েলি সময় বেলা সোয়া ১১টায় চুক্তি কার্যকরের সঙ্গে সঙ্গে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা স্রোতের মত্যে তাদের বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করে। যদিও গাজার ৭০ শতাংশ ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অনেকে অজানা গন্তব্যের উদ্দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। ১৫ মাসের রক্তক্ষয়ী সহিংসতায় গাজা জুড়ে শুধু ধ্বংসস্তূপ।

ফ্রান্সভিত্তিক বার্তাসংস্থা এএফপি এই খবর জানায়।

সংবাদমাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের প্রথমদিনে তিন ইসরায়েলি জিম্মি রোমি গনেন, ডোরন স্টেইন ব্রেচার এবং এমিলি দামারিকে মুক্তি দেয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী হামাস যোদ্ধারা। এরপর তাদেরকে রেডক্রসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে রেডক্রস তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেয়। ওই তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নির্ধারিত সময়ের তিন ঘণ্টা পর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। বন্দি বিনিময়ে বিলম্ব হওয়ায় ইসরায়েল গাজায় হামলা চালালে কমপক্ষে ১৯ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়।

চুক্তির অংশ হিসেবে ৯০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয় তেল আবিব। চুক্তির আওতায় একজন ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল নেতানিয়াহু প্রশাসনের। ইসরায়েল তা-ই করেছে।

মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য খান ইউনূস হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ধাপে হামাসের হাতে থাকা ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েল তাদের হাতে আটক শতাধিক ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। চুক্তির প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের মধ্যে এই বন্দি বিনিময় হবে।

একই সঙ্গে গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা হবে এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িঘরে ফেরার অনুমতি পাবে। পাশাপাশি ত্রাণবাহী ট্রাকগুলোকে প্রতিদিন গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।

দ্বিতীয় ধাপে হামাসের হাতে থাকা বাকি জিম্মিরা মুক্তি পাবে এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হবে। এর মাধ্যমে ‘টেকসই শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে’।

তৃতীয় ও চূড়ান্ত ধাপে গাজা পুনর্গঠন হবে, যা শেষ করতে কয়েক বছর পর্যন্ত লাগতে পারে। একই সঙ্গে মৃত ইসরায়েলি জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২০জানুয়ারি/এজে)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
এপ্রিলের ২৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬০ কোটি ৭৬ লাখ ডলার
নির্ধারিত সময়ের দুই মাস আগেই সব দেনা পরিশোধ করল পেট্রোবাংলা
ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব: অর্থ উপদেষ্টা
উপদেষ্টাদের সঙ্গে পুলিশের মতবিনিময়, বিভিন্ন প্রস্তাব বাস্তবায়নের আশ্বাস
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা