দ্বিতীয় কিস্তিতে আরও ২০ শতাংশ টাকা পেলেন দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটাররা

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ-বিপিএল মানেই যেনো নিত্য নতুন নাটকের কারখানা। তবে চলতি বিপিএলে দুর্বার রাজশাহী আগের সব আসরের নাটকীয়তার রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক ইস্যু নিয়ে।
বিপিএলের মাঝপথে হঠাৎ করেই অনুশীলন বর্জন করেন রাজশাহীর ক্রিকেটাররা। ঠিক তখনই সামনে আসে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক পরিশোধ না করার ব্যাপারটা। এরপর সময় মতো টাকা না পাওয়ায় একবার মাঠেই আসেননি বিদেশি ক্রিকেটাররা। যে কারণে নিয়মের তোয়াক্কা না করেই কোনও বিদেশি ছাড়াই একটা ম্যাচ খেলেছে দুর্বার রাজশাহী।
বিপিএল থেকে তাদের বিদায় নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। তবুও এই ফ্র্যাঞ্চাইজিকে নিয়ে বিতর্ক থামেনি কোনোভাবেই। দেশি-বিদেশি সব ক্রিকেটারদেরই বেতন আটকে ছিল ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে। এমনকি গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ হওয়ার পর রাজশাহীর মালিক শফিকুর রহমানের দেশ ছাড়ার গুঞ্জনও ওঠেছিল।
এ নিয়ে জল ঘোলা হয়েছে পুরো আসরজুড়েই। সবশেষ সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছিল দুর্বার রাজশাহীর মালিক শফিকুর রহমানকে। সেখানে তিনি জানান তিন কিস্তিতে খেলোয়াড়দের বাকি থাকা পারিশ্রমিক পরিশোধ করা হবে। তা না হলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে, সে ব্যাপারেও সায় দিয়েছেন তিনি।
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেদিনই (৩ ফেব্রুয়ারি) ক্রিকেটারদের বাকি থাকা পারিশ্রমিকের একটি অংশ পরিশোধ করার কথা ছিল। তবে সেই কথা রেখেছে দলটি। সোমবার রাতেই চুক্তির আরও ২০ শতাংশ পারিশ্রমিক পরিশোধ করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৪৫ শতাংশ পারিশ্রমিক প্রদান করা হয়েছে খেলোয়াড়দের। এর আগে প্রথম দফায় দেয়া হয়েছিল ২৫ শতাংশ।
এর আগে পারিশ্রমিক প্রদান করতে চেক ব্যবহার করেছিল রাজশাহী। তবে সেই চেক একাধিবার বাউন্সের ঘটনা ঘটেছে। তবে এবার সেই বিতর্কের সুযোগ থাকছে না। কারণ এবার নগদ টাকায় তাদের ২০ শতাংশ পরিশোধ করা হয়েছে। পুলিশি হেফাজতে রাজশাহীর মালিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, ২৫ শতাংশ হারে ৩, ৭, ও ১০ ফেব্রুয়ারি তিন কিস্তিতে সব পাওয়া পরিশোধ করা হবে। তবে প্রথম দফায় ২৫ শতাংশের বদলে ক্রিকেটারদের দেয়া হয়েছে ২০ শতাংশ অর্থ।
(ঢাকাটাইমস/০৪ ফেব্রুয়ারি/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন