বিপিএল: ফাইনালে মাঠে নামার আগে দুশ্চিন্তায় চিটাগং কিংস

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪:৪৭
অ- অ+

বরিশালের টানা দ্বিতীয় নাকি চিটাগাংয়ের প্রথম? কার হাতে উঠবে এবারের বিপিএলের শিরোপা? হোম অব ক্রিকেট থেকে পাড়ার চায়ের দোকান-সর্বত্র এখন একটাই আলাপ। বিপিএল ট্রফিটার গন্তব্য কই? বরিশালের লঞ্চ নাকি বন্দরনগরী চট্টগ্রাম?এই প্রশ্নের উত্তর পেতে অপেক্ষা করতে হবে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা।

আসর জুড়ে দাপট দেখানো বরিশাল সমর্থকদের জন্যই জিততে চায় ট্রফি। লঞ্চে করেই শিরোপা নিতে চান কীর্তনখোলা পাড়ে। অন্যদিকে, ম্যাচের আগে অনুশীলন না করা চিটাগাং ভরসা রাখছে নিজ সামর্থ্যে। শের-ই-বাংলায় হাইভোল্টেজ ফাইনাল শুরু শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬ টায়। দেখার অপেক্ষা, তারুণ্যের উৎসবের বিপিএল নতুন চ্যাম্পিয়নকে বরণ করে নেয়, নাকি বর্তমান চ্যাম্পিয়নের মুকুটে জুড়ে দেয় শ্রেষ্ঠত্বের আরেকটি পালক।

এবারের আসরের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে ব্যাট হাতে ইনিংসের শেষ বলে চার হাঁকিয়ে চিটাগাং কিংসকে জয় এনে দিয়েছিলের আলিস আল ইসলাম। তার ক্যামিওতে ভর করেই খুলনা টাইগার্সকে সেদিন ৩ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল চিটাগং কিংস। তবে ফাইনালে আলিসের খেলা নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।

দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রান নিতে গিয়ে পায়ে ব্যথা পেয়েছিলেন এই স্পিনার। যেই ব্যথায় এখনো ভুগছেন আলিস। সর্বশেষ খবর, এখনো খেলার মতো ফিট নন তিনি। তবে ম্যাচের আগে পর্যন্ত তার জন্য অপেক্ষা করবে দল।

চিটাগাং কিংসের একটি সূত্র জানিয়েছে, শেষ বিকাল পর্যন্ত আলিসের জন্য অপেক্ষা করবে দল। এই স্পিনারকে নিয়ে কাজ করছে দলটির মেডিকেল বিভাগ। টিম ম্যানেজমেন্ট চায়, আলিস খেলুক। তবে ঝুঁকি নিয়ে খেলাবে না তারা।

গত ম্যাচে শেষ ওভারের জয়ের জন্য চিটাগাং কিংসের প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। মুশফিক হাসানের করা ওভারের প্রথম বলে চার মেরে কিংস ভক্তদের স্বপ্ন দেখান আরাফাত সানি। তৃতীয় বলে আলিস রিয়ার্ড হয়ে ওঠে গেলে উইকেটে এসে প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকান শরিফুল। তবে পরের বলেই আউট হয়ে যান তিনি। ফলে আবারো মাঠে নামেন আলিস।

শেষ বলে সমীকরণ দাঁড়ায় চার রানে। তখন মুশফিকের অফ স্টাম্পের বাইরের বলকে ডিপ এক্সট্রা কভার দিয়ে চার মেরে সেই সমীকরণ মিলিয়েছেন আলিস। সব মিলিয়ে ৭ বলে ১৭ রানের ম্যাচ জেতানো ক্যামিও খেলে জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কারও।

ম্যাচ শেষে আলিস বলেন, 'রান নিতে গিয়ে যখন চোটে পড়লাম, আমি যেহেতু দৌড়াতে পারব না, সানি ভাই বললেন যে, 'যদি দৌড়াতে না পারো, তাহলে বাইরে যাওয়াই ভালো হবে।' ওই সময় তিন বলে ৮ রান প্রয়োজন ছিল। তাই দ্রুত রান নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। প্রথমে বললাম, 'আমি চেষ্টা করি।' সানি ভাই বললেন, 'দরকার নেই। কপালে থাকলে হবে। শরিফুলও মারতে পারবে।' শরিফুল প্রথম বলেই চার মারল। তখন আমাদের মাঝে বিশ্বাস ছিল যে, এই ম্যাচ আমাদের পক্ষে আছে।'

'শেষ বলে আমি আবার যখন ফিরে এলাম, সানি ভাইকে বলছিলাম, 'ভাই আসলেই দেখেন, কপালে যদি থাকে ছয় মেরে দেব।' সানি ভাই বলছিলেন যে, ছয় দরকার নেই, তুই চারই মার (হাসি)।'

(ঢাকাটাইমস/০৭ ফেব্রুয়ারি/এনবিডব্লিউ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
৫৫তম মহান স্বাধীনতা দিবস আজ
গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্যই বিএনপি নির্বাচনের কথা বলছে: নীরব
মানিকগঞ্জে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে হাসপাতালে
দ্রুত নির্বাচন দিলে সংস্কারও দ্রুত হবে: টুকু 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা