সিগারেট ও তামাক পণ্যের যৌক্তিক দাম বাড়ানোর দাবি
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাথে আত্মা’র আলোচনা

সিগারেটের ওপর কর আরোপে চারটি মূল্যস্তরের বদলে মোট তিনটি স্তর নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স- আত্মা।
মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে আত্মার নেতৃবৃন্দ এই দাবি জানান। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
আত্মার নেতৃবৃন্দ জানান, সিগারেটে নিম্ন, মধ্যম, উচ্চ ও প্রিমিয়াম-এই চারটি মূল্যস্তর থাকায় তামাক কর ও মূল্য পদক্ষেপ সঠিকভাবে কাজ করছে না। বিশেষ করে নিম্ন এবং মধ্যম স্তরের সিগারেটের দাম কাছাকাছি হওয়ায় ভোক্তা যে কোন একটি স্তরের সিগারেট বেছে নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে। একারণে দেশে ধুমপায়ীর সংখ্যা আশানুরূপ হারে কমছে না। এসময় তারা আরো বলেন, গত ২০২১ সালের তুলনায় দেশে খাদ্যপণ্যের দাম যে হারে বেড়েছে, সেই হারে সিগারেট ও তামাকপণ্যের দাম বাড়েনি। অথচ এই খাতে যথাযথ কর আরোপ করা হলে ক্ষতিকর তামাকপণ্য সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে গিয়ে ধুমপায়ীর সংখ্যা কমবে। পাশাপাশি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আয় বাড়বে ২০ হাজার কোটি টাকা।
এসময় আত্মা’র পক্ষ থেকে আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটের নিম্ন এবং মধ্যম স্তরকে একত্রিত করে প্রতি ১০ শলাকার খুচরা মূল্য ৯০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়। এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে স্বল্প আয়ের ধূমপায়ী ধূমপান ছাড়তে বিশেষভাবে উৎসাহিত হবে। একইসাথে তরুণ প্রজন্ম ধূমপান শুরু করতেও নিরুৎসাহিত হবে বলে সভায় জানানো হয়। এছাড়া প্রতি ১০ শলাকা উচ্চ স্তরের সিগারেটের খুচরা মূল্য ১৪০ টাকায় অপরিবর্তিত রাখা এবং প্রিমিয়াম স্তরের প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ১৯০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়। এই তিনটি স্তরে সম্পূরক শুল্ক ৬৭ শতাংশ বহাল রাখার প্রস্তাব করা হয়।
আলোচনা সভায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান সিগারেটের মূল্যস্তর তিনটিতে কমিয়ে আনা ও সিগারেটসহ তামাকপণ্যের দাম বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেন। তামাক কর কাঠামো সংস্কারে অতিরিক্ত ২০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানান তিনি।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এই প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় আত্মা’র প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নেন দৈনিক জনকন্ঠের সিটি এডিটর কাওসার রহমান, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ডেপুটি এডিটর সাজ্জাদুর রহমান, আত্মা’র কনভেনর মর্তুজা হায়দার লিটন ও কো-কনভেনর মিজান চৌধুরী।
(ঢাকাটাইমস/১৮মার্চ/এমআর)

মন্তব্য করুন