আ.লীগের কমিটি নিয়ে সরগরম ভৈরব
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দীর্ঘ ১৪ বছর পর ১৮ অক্টোবর ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ সম্মেলন নিয়ে নেতাকর্মীদের দৌঁড় ঝাঁপ শুরু হয়েছে। ভৈরব পৌরসভার মেয়র ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. ফখরুল আলম আক্কাছকে আহ্বায়ক করে গত ৬ জুন পুরানো কমিটি বিলুপ্ত করে ১৭ সদস্যের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কিশোরগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. এম এ. আফজাল আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেন।
বিগত উপজেলা কমিটির সভাপতি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা মো. সায়দুল্লাহ মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মো. আবুল মনসুর।
২০০২ সালের ১২ অক্টোবর আগের কমিটি করা হয়েছিল। তখন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
আসন্ন সম্মেলনে নুতন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হবে। সম্মেলনের দিন ভৈরবের ৭টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকার ১৮৩ জন কাউন্সিলর (ভোটার) ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচিত করবেন। পরে ৬৭ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
এবারের এ সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে দুই জন করে প্রার্থী হয়েছেন এবং তারা প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় নেতাকর্মীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছেন।
ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে এবার সভাপতি পদে সাবেক সভাপতি মো. সায়দুল্লাহ মিয়া প্রার্থী হয়েছেন। অপরদিকে বিগত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল মনসুরও এবার সভাপতি প্রার্থী।
সাধারণ সম্পাদক পদে এবার দুজনই নুতন মুখ। তারা হলেন- বিগত কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু ও সাবেক ছাত্র নেতা মো. রফিকুল ইসলাম। দুই পদে চার প্রার্থী প্রচারণায় নেমেছেন।
সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ভৈরব শহরসহ উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন এলাকায় প্রার্থীদের পোস্টারে ছেঁয়ে গেছে। সব প্রার্থীই দোয়া ও ভোট চাচ্ছেন। কদর বেড়েছে ভোটারদের। উপজেলা কমিটির বর্তমান আহবায়ক অ্যাড. ফখরুল আলম আক্কাছ জানান, গণতান্ত্রিক উপায়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হবে। সম্মেলন সফল করতে যাবতীয় প্রস্তুতি নেয়া হবে।
তিনি বলেন, আমি আহবায়ক হয়ে যথাসময়ে সম্মেলন করে নুতন কমিটি উপহার দিয়ে বিদায় নিতে চাই।
(ঢাকাটাইমস/৮ অক্টোবর/প্রতিনিধি/এলএ)
মন্তব্য করুন