‘নাসিরনগরের কেউ হামলায় জড়িত ছিল না’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৯ নভেম্বর ২০১৬, ২৩:২৪

ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ায় হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় নাসিরনগরের কেউ জড়িত ছিল না বলে জানিয়েছেন মৎস্য প্রাণীসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হক। বুধবার বিকালে নাসিরনগরে ১৪ দলের শান্তি সমাবেশে তিনি একথা বলেন।

ফেইসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে গত ৩০ অক্টোবর নাসিরনগরের প্রায় ১৫টি মন্দির ও শতাধিক হিন্দু বাড়িতে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। হামলার দুইদিন পর নাসিরনগরের ডাকবাংলোতে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. ছায়েদুল হক বলেন, মালাউনের বাচ্চারা বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে। আর এ ঘটনাকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে প্রচার করে অতিরঞ্জিত করেছে সাংবাদিকরা। অথচ ঘটনা কিছুই নয়।

প্রতিমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ার পর নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি অস্বীকার করে ছায়েদুল হক বলেন, হিন্দুদের ‘মালাউন’ বলেছি এটা প্রমাণ করতে পারলে এখনই পদত্যাগ করব। জীবনে কখনও হিন্দুদের মালাউন বলিনি। দাঙ্গা বাঁধিয়ে আমি নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারব কেন?

বুধবারের সমাবেশে ছায়েদুল হক বলেন, ‘নাসিরনগরের দেড়শ বছরের ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটেনি। নাসিরনগরের কোন লোক হামলার সঙ্গে জড়িত নয়। মাধবপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে হাফপ্যান্ট পরা কিছু লোক লাঠি নিয়ে এ হামলা চালায়। তারা সবাই ট্রাকে করে আসে। ট্রাকের মালিক ও ড্রাইভার কারা তাদের ধরলেই মূল হোতা বেড়িয়ে আসবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই হামলার ঘটনা অত্যন্ত নির্মম ও বেদনাদায়ক। এর নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলায় ওস্তাদ আলাউদ্দিন খান সংগীতাঙ্গন ও ভাষা সৈনিক ধীনেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতিস্তম্ভে হামলাকারীদের বিচার হলে আজ এ ঘটনা ঘটতো না।’

এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম ওবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী বলেন, অপরাধীরা পার পেয়ে যায় বলেই বার বার এ রকম নৃশংস ঘটনা ঘটছে। জামায়াত-শিবিরের মদদেই এসব হামলা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ওবায়দুল মুক্তাদির বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের বিরোধের ব্যাপারে যেসব কথা উঠেছে, আমি মনে করি না আওয়ামী লীগে কোনো বিরোধ আছে। তবে এ ঘটনা তদন্তের পর সেখানে যদি আমার নামও উঠে আসে, আর তাতে আমি যদি দোষী প্রমাণিত হই, তাহলে যে শাস্তিই দেয়া হবে আমি তা মাথা পেতে নিব।

১৪ দলের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।আরও ছিলেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, অসিম কুমার উকিল, প্রাণ গোপাল দত্ত।

(ঢাকাটাইমস/৯নভেম্বর/এমএম/জেআর/এমআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

তিস্তা প্রকল্পের সম্প্রসারণের নামে গাছ কাটা নির্মমতা: ন্যাপ 

শহীদ মিনারে আকবর খান রনোকে গার্ড অব অনার, সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন

বিভাজন থেকে বেরিয়ে সবাইকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করা উচিত: মির্জা ফখরুল 

এদেশে এসে যারা দাপট দেখাবে তাদের ক্ষমতা মধ্যপ্রাচ্যেই সংকুচিত: ওবায়দুল কাদের 

শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আকবর খান রনোর মরদেহ

শহীদ মিনারে আকবর খান রনোর প্রতি সর্বস্তরের শ্রদ্ধা ১১টায়

সাংবাদিক শামছুদ্দীনের মায়ের মৃত্যুতে রওশন এরশাদের শোক

১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বিএনপির লিয়াজো কমিটির বৈঠক

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ছাত্রদলের শুভেচ্ছা

নির্বাচনের পর বিএনপি তাবিজ-দোয়ার দিকে ঝুঁকেছে: হাছান মাহমুদ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :