স্কুলে ভর্তি হয়েছেন সাত প্রবীণ শিক্ষার্থী!
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে সাত প্রবীণ ব্যক্তি পড়ালেখা শিখতে মাহমুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
ওই সাত ব্যক্তি হলেন, নবাবগঞ্জ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের আছাদুল ইসলাম (৬৫), আ. লতিফ (৪৫), বাদশা মিয়া (৫৫), মো. বদিউজ্জামান (৬৮), মো. সিদ্দিক (৬০), মো. লাল মিয়া (৪৫) এবং শাহিনুর আলম (৪৬)।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জেনাজুল হায়দার ঢাকাটাইমসকে জানান, ওই সাত ব্যক্তি লেখাপড়া শেখার জন্য এ বছর ১ জানুয়ারি বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন।
বাদশা মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘বাড়ির লোকভর্তি হইছে হারা খুব খুশি। এই যুগোত লেখাপড়া না জানলে হয় কও। হারাও লেখাপড়া জানি না। বাড়ির লোকের কাছ থেকে হারাও রাতোত লেখা শেখোছি।’
হারুন উর রশীদের ছেলে মোগরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী আ. কাইয়ুম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমরা তিন ও ভাই দুই বোন। সবাই লেখাপড়া করি। বাবা-মা কেউ লেখাপড়া জানেন না। এজন্য আমাদের খারাপ লাগতো। বাবা স্কুলে ভর্তি হওয়ায় খুব খুশি হয়ছি। প্রতিদিন রাতে বাবা আমাদের কাছে পড়া শিখে নেয়। খুব ভালো লাগে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নবাবগঞ্জ প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শরিফ হোসেন ঢাকাটাইমসকে জানান, বিষয়টি খুবই উৎসাহব্যঞ্জক। ওই শিক্ষার্থীদের বিষয়ে সব সময় খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। শিক্ষা কার্যালয় থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বজলুর রশীদ ঢাকাটাইমসকে জানান, ওই সাত ব্যক্তি এলাকায় একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাদের দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে লেখাপড়া না জানা অনেকে নতুন করে লেখাপড়া শেখার আগ্রহ দেখাচ্ছেন। নবাবগঞ্জে বিভিন্ন এলাকায় বয়স্ক শিক্ষা কার্যক্রম চালুর বিষয়ে তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানান।
(ঢাকাটাইমস/২৪জানুয়ারি/প্রতিনিধি/জেবি)