যশোর ট্রাজেডি: নানা কর্মসূচিতে নিহত শিক্ষার্থীদের স্মরণ

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৭:৫১

আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি যশোরের চৌগাছার ঝাউতলা পিকনিক ট্রাজেডির সেই ভয়াবহ দিবস। তিন বছর আগে এই দিনে সেখানে পিকনিকের বাস দুর্ঘটনায় বেনাপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নয় শিশু শিক্ষার্থী মারা যায়। আহত হয় আরো ৪৭ জন।

নিহত শিশু শিক্ষার্থীদের স্মরণে বেনাপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌরসভা নির্মাণ করেছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। কিন্তু প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও দুর্ঘটনাস্থলে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়নি।

তৃতীয় বর্ষে নিহত শিশু শিক্ষার্থীদের স্মরণে বুধবার বেনাপোল পৌরসভা নানা কর্মসূচি পালন করে। সকাল সাড়ে ৭টায় বেনাপোল ফুটবল মাঠ থেকে শোক র‌্যালি বেনাপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অভিমুখে যাত্র করে। সেখানে নিহত শিশু শিক্ষার্থীদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

বেনাপোল পৌরসভাসহ বেনাপোলের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক, পেশাজীবী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়। এছাড়া বেনাপোলের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটন। ১৫ ফেব্রুয়ারিকে বেনাপোলে শোক দিবস ঘোষণা করেছে পৌরসভা।

২০১৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বেনাপোল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষাসফরে মুজিব নগরে যায়। সেখান থেকে চৌগাছা হয়ে বেনাপোলে ফেরার পথে ঝাউতলা কাদবিলা পুকুর পাড়ে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় নয় জন এবং আহত হয় আরো ৪৭ জন শিশু শিক্ষার্থী।

ঘটনাস্থলে নিহতরা হলো- বেনাপোল শহরের ছোটআঁচড়ার সৈয়দ আলীর দুই মেয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী সুরাইয়া (১০) ও তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী জেবা আক্তার (৮), ইউনুস আলীর মেয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী মিথিলা (১০), রফিকুল ইসলামের মেয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী রুনা আক্তার মীম (৯), লোকমান হোসেনের ছেলে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শান্ত (৯), গাজিপুরের সেকেন্দার আলীর ছেলে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সাব্বির হোসেন (১০) ও নামাজ গ্রামের হাসান আলীর মেয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী আঁখি (১১)। ১৩ দিন পর ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ছোটআঁচড়ার মনির হোসেনের ছেলে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ইকরামুল (১১)। সর্বশেষ দুর্ঘটনার ৩২ দিন পর ১৯ মার্চ ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় একই এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইয়ানুর রহমান (১১)।

প্রসঙ্গত, শিশু শিক্ষার্থীবাহী গাড়িটি রাত ৮টার দিকে চৌগাছা-মহেশপুর সড়কের ঝাউতলায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে উল্টে পড়ে।

সড়কের ওপর শাকের বীজডাটা শুকাতে দিয়েছিলেন কৃষকরা। ওই সময় হালকা বৃষ্টিতে ভেজা থাকা ডাটার ওপর দিয়ে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানোয় দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে পুলিশ ও স্থানীয়রা সে সময় জানিয়েছিলেন।

চৌগাছা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আকিকুল ইসলাম জানান, মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৫ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :