খালেদার অনাস্থা আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত
বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি বিচারিক আদালত পরিবর্তনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চে বুধবার আংশিক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
খুরশিদ আলম খান বলেন, খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তাদের বক্তব্য দিয়েছেন। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি দুইটায় আবার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
আদালত সূত্র জানায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি রাজধানীর বকশীবাজারে অবস্থিত আবু আহমেদ জমাদারের বিশেষ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। মামলাটি বর্তমানে আসামিপক্ষে সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। তবে ট্রাস্টে টাকা সৌদি আরব থেকে এসেছে নাকি কুয়েত থেকে এসেছে সেই বিষয়ে সাফাই সাক্ষ্য হওয়ার আগে বিষয়টি তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে একটি আবেদন করেন। ওই আবেদন খারিজ করে সাফাই সাক্ষ্য দেয়ার জন্য দিন ধার্য করলে খালেদা জিয়া বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে উচ্চ আদালতে যান। গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। আবেদনে মামলাটি অন্য আদালতে স্থানান্তরের আরজি জানানো হয়।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মামলাটি বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই আদালতের এখতিয়ার পরিবর্তন হওয়ায় পরে মামলাটি বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমেরন নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুনানির জন্য আবেদন করেন খালেদার আইনজীবীরা।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।
খালেদা ছাড়াও এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক সাংসদ ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের বোনের ছেলে মমিনুর রহমান।
(ঢাকাটাইমস/২২ফেব্রুয়ারি/এমএবি/জেবি)