পাতানো ম্যাচের আশঙ্কায় টঙ্গী ক্রীড়া চক্রের সংবাদ সম্মেলন

ইফতেখার রায়হান, টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি
 | প্রকাশিত : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২৩:২৪

ঢাকা মহানগরীর ফুটবল লিগ কমিটির ব্যবস্থাপনায় ও বাফুফের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং সাইফ পাওয়ার টেকের পৃষ্ঠপোষকতায় শুরু হয়েছে সাইফ পাওয়ার টেক দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লিগ ২০১৭।

ইতোমধ্যে লিগ পর্বের ম্যাচ প্রায় শেষ প্রান্তে। আগামী কাল শনিবার শেষ হচ্ছে লীগ পর্বের শেষ ম্যাচটি। এই ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে নবাবপুর ক্রীড়া চক্র ও কসাইটুলি সমাজ কল্যাণ পরিষদ। এ খেলায় ম্যাচ পাতানো হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে লিগের অন্যতম শিরোপা প্রত্যাশী টঙ্গী ক্রীড়া চক্র।

শুক্রবার বিকেলে টঙ্গী ক্রীড়া চক্রের সভাপতির নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এ আশঙ্কার কথা জানানো হয়।

এই লিগে টঙ্গী ক্রীড়া চক্রসহ মোট ১২টি দল অংশগ্রহণ করছে। ১১টি খেলা শেষে টঙ্গী ক্রীড়া চক্র ২৫ পয়েন্ট অর্জন করে গোল পার্থক্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। ইতোমধ্যে টঙ্গী ক্রীড়া চক্রের গ্রুপ পর্বের সবগুলি ম্যাচ শেষ হয়েছে। অপরদিকে সমান ২৫ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের একই অবস্থানে আছে নবাবপুর ক্রীড়া চক্র ও কসাইটুলি সমাজ কল্যাণ পরিষদ।

শনিবার কমলাপুর স্টেডিয়ামে নবাবপুর ক্রীড়া চক্র বনাম কসাইটুলী সমাজ কল্যাণ পরিষদের মধ্যে লিগের শেষ ম্যাচটি আনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই দুইটি দল একটি পাতানো ম্যাচে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন টঙ্গী ক্রীড়া চক্রের সভাপতি নূরুল ইসলাম নূরু। পাতানো ম্যাচ খেলে এই দুই দল ড্র করে এক এক পয়েন্ট নেবে। এতে উভয়ে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে আগামী মৌসুমে প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগ খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে।

টঙ্গী ক্রীড়া চক্রের সভাপতি মো. নূরুল ইসলাম নূরু বলেন, গত চলতি মাসের ১৬ তারিখ কমলাপুর স্টেডিয়ামে টঙ্গী ক্রীড়া চক্র ও নবাবপুর ক্রীড়া চক্রের ম্যাচের দুই দিন আগে থেকে নবাবপুরের সভাপতি মো. আলিমুজ্জামান আলম তার মুঠোফোন থেকে আমাকে এবং আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদককে খেলা ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে। কিন্তু তাদের হুমকি সত্ত্বেও ওই খেলায় অংশগ্রহণ করে টঙ্গী ক্রীড়া চক্র ১-০ ব্যবধানে জয়লাভ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে নবাবপুর ক্রীড়া চক্রের সদস্যরা।

খেলা শেষে নবাবপুর ক্রীড়া চক্রের কোচ তাজু, কর্মকর্তা পাপ্পু, কফিলউদ্দিন মাহমুদসহ তাদের দলের ৭, ১৫, ১০, ১১নং জার্সিধারী খেলোয়ার ও নাম না জানা অনেক কর্মকর্তা আমাদের টঙ্গী ক্রীড়া চক্রের খেলোয়ার কর্মকর্তাদের উপর অক্রমণ করে। এতে আমাদের দলের ৬-৭ জন নির্ভরযোগ্য খেলোয়ার যাদের মধ্যে মোহাম্মদ উল্লাস, হাফিজুল ইসলাম, ইয়াসিন হোসেন, আবু বক্কর ছিদ্দিক ও কাউছার গুরুতর আহত হয়। এই আক্রমণের সচিত্র প্রতিবেদন বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। আক্রমণের সময় লিগ কমিটির টুলু, জাকির, জাহাঙ্গীরসহ অনেক সদস্য মাঠে উপস্থিত ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, টঙ্গী ক্রীড়া চক্রের পক্ষ থেকে এই হামলার বিষয়ে নালিশ জানিয়ে লিগ কমিটির নিকট লিখিতভাবে বিচার চাইলেও লিগ কমিটি এই বিষয়ে কোনো প্রকার কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। টঙ্গী ক্রীড়া চক্রের ওপর হামলার পরে নবাবপুর ক্রীড়া চক্রের এই ফৌজদারী অপরাধের বিষয়ে মুগদা থানা বরাবর লিখিত এজাহার দাখিল করলে মুগদা থানাও তা গ্রহণ করে নাই।

এই হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন এবং মহানগর লিগ কমিটির সুনাম রক্ষায় নবাবপুর ক্রীড়া চক্রকে পরবর্তী কোনো খেলায় অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত রাখার দাবি জানান টঙ্গী ক্রীড়া চক্রের সভাপতি নুরুল ইসলাম নুরু।

(ঢাকাটাইমস/২৪ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

খেলাধুলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

খেলাধুলা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :