রাজবাড়ীতে জুটমিলে আগুন, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলায় কিং জুট মিলে এক ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বিকালে লাগা এই আগুনে প্রায় দশ কোটি টাকার সম্পদ পুড়ে গেছে বলে দাবি করেছেন মিলটির মালিক। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন দাবি করেন, ‘ইচ্ছে করেও আগুন লাগানো হয়ে থাকতে পারে। কারণ, এ অবস্থায় আগুন লাগা খুব রহস্যময়।’
পাটকলের একাধিক শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পাটকলের পাশের গুদামঘরের ছাদে ঝালাইয়ের কাজ চলছিল। সেখান থেকে আগুনের গোলা নিচে পড়ে আগুনের সূত্রপাত হয়। নিচে থাকা পাট ও ডিজেলে আগুন ধরে যায়। আগুনে মিলের পাট, তেল ও যন্ত্রপাতি পুড়ে যায়। প্রথমে মিলের শ্রমিক ও স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে দমকল বাহিনী নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে।
মিলের শ্রমিক নাজমা বেগম বলেন, ‘আমরা প্রতিদিনের মতো মিলে কাজ করছিলাম। মিলে করে হঠাৎ আগুন দেখতে পাই। আগুন দেখে সবাই এদিক-ওদিক ছোটাছুটি শুরু করে। গুদামঘরের চালে শ্রমিকেরা কাজ করছিলেন। সেখান থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে। আগুন লাগার পর কালো ধোঁয়ায় পুরো এলাকা ছেয়ে যায়। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বছর কালুখালী-পাংশা ভায়া কালিকাপুর সড়কের পাশে পাটকলটি স্থাপন করা হয়। মূল পাটকল থেকে প্রায় ২০ হাত দূরে পাটকলের গুদামঘর। গুদামঘরের চালের কিছু অংশে কাজ বাকি ছিল। সেখানে কাজ করার সময় আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাটকল এলাকার পুরো আকাশ কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে। দমকল বাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় মানুষ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।
কালুখালী উপজেলার রেলস্টেশন এলাকায় রতনদিয়া ইউনিয়নের গঙ্গানন্দপুর গ্রামে অবস্থিত এই মিলটি। ক্ষতিগ্রস্ত মিলের মালিক আব্দুর রাজ্জাক আগুনে ১০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন।
পাটকলের উপব্যবস্থাপক আরিফুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তিনি দাবি করেন, ১২ থেকে ১৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক ফজলুল হক মন্ডল বলেন, তদন্তের পরই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাবে। তিনি জানান, মোট পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। প্রায় দুই ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
(ঢাকাটাইমস/১৩মার্চ/প্রতিনিধি/জেবি)
মন্তব্য করুন