ইশতেহার ঘোষণা

জলাবদ্ধতা ও যানজটমুক্ত কুমিল্লা গড়ার প্রতিশ্রুতি সাক্কুর

মাসুদ আলম, কুমিল্লা থেকে
| আপডেট : ২৪ মার্চ ২০১৭, ১৮:৫৫ | প্রকাশিত : ২৪ মার্চ ২০১৭, ১৮:০৭

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু তার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। নগরীর ধর্মসগারপাড়ে বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে শুক্রবার বিকালে তিনি এ ইশতেহার ঘোষণা করেন। ১১ পৃষ্ঠার ২৭ দফা সম্বলিত ইশতেহার ঘোষণা করেন সদ্য সাবেক এই মেয়র।

আগামী ৩০ মার্চের নির্বাচনে পুনঃনির্বাচিত হলে নগরীর জলাবদ্ধতা এবং যানজট সমস্যাকে নিরসন করবেন বলে ইশতেহারে গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করেছেন সাক্কু। এছাড়া পুরাতন গোমতী নদীতে ঢাকার হাতিরঝিলের আদলে একটি বিনোদন কেন্দ্র গড়ার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।

ইশতেহার ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, মনিরুল হক চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিন-উর রশিদ ইয়াছিন ও কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া।

ইশতেহার ঘোষণাকালে সাক্কু বলেন, ‘কুমিল্লার প্রতিটি ধূলিকণায় জড়িয়ে আছে আমার পরিবারের স্মৃতি। আন্তরিক চেষ্টা করেছি এই কুমিল্লার মাটি ও মানুষের কল্যাণ করার। নিজের বিবেকের কাছে আমি শুধু এই প্রশ্নের জবাব দেয়ার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থেকেছি, দায়িত্ব পালনে আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন শেষে বুকে সাহস নিয়ে অন্তত একথা বলতে পারি- আমার দ্বারা কারো অকল্যাণ হয়নি। সিটি করপোরেশনকে আমি রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করিনি। আমার কোনো আত্মীয়-বন্ধু আমার পদ-পদবির সুবাদে গণবিরোধী কোনো কাজ করার সুযোগ পায়নি। আমার পরিবারের কেউ সন্ত্রাসে লিপ্ত হয়ে জনগণের ত্রাসে পরিণত হয়নি।’

জলাবদ্ধতা ও যানজট নিরসনে অগ্রাধিকার

সাক্কু বলেন, ‘আমাদের প্রিয় কুমিল্লা একটি ঐতিহ্যবাহী পুরাতন শহর। অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠা এই শহরে জলাবদ্ধতা এবং যানজট সমস্যা দীর্ঘকালের। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব সমস্যা সমাধানের জন্য আমি গত বছরগুলোতে কিছু কাজ করেছি বলেই জলাবদ্ধতা ও যানজট কিছুটা কমেছে।’

নিজের অতীত কর্মকাণ্ডের বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর আমার অন্যতম প্রধান পদক্ষেপ ছিল কুমিল্লা শহরকে জলাবদ্ধতা ও যানজটের অভিশাপ থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে পরিকল্পিত ও স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া। এই লক্ষ্যে গৃহীত মাস্টার প্লান অনুযায়ী কাজ শুরু হয়েছে এবং আগামী দুই তিন বছরের মধ্যে তা সম্পন্ন হলে কুমিল্লা শহর জলাবদ্ধতা ও যানজট মুক্ত হবে ইনশাআল্লাহ্।’

যানজট সমস্যা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘জনগণের এবং যানচালকদের সচেতনতা বৃদ্ধি করে তাদেরকে সাথে নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় যানজট নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছি। এতে পরিস্থিতির কিছু উন্নতি হয়েছে। এ ব্যাপারে আরও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ট্রাফিকব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি ফ্লাইওভার এবং ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনাও আমার আছে।’

ট্যাক্স বাড়বে না

সাক্কু বলেন, ‘বিগত পাঁচ বছরে মহানগরীর কোথাও হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো হয়নি। বরং দরিদ্র এবং নানা কারণে পুরো হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদানে অক্ষম নাগরিকদের হোল্ডিং ট্যাক্স কমিয়ে পরিশোধের সুযোগ দেয়া হয়েছে। আগামীতেও কোনো নাগরিকের হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি করা হবে না। সিটি করপোরেশন থেকে নতুন কোনো করের বোঝাও কারো ওপর চাপানো হবে না।’ গত পাঁচ বছরে এই নতুন সিটি করপোরেশনে ৪৩১ কোটি ২৭ লাখ টাকার উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে বলেও জানান সাবেক মেয়র।

শিক্ষা খাতের উন্নয়নে পরিকল্পনা

মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘শিক্ষাক্ষেত্রে কুমিল্লা বরাবরই অগ্রগামী। এই গর্বিত ধারাকে আরও বেগবান করার লক্ষ্যে গত কয়েক বছরে বিদ্যমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের যথাসম্ভব সংস্কার ও উন্নয়ন করা হয়েছে। কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ২২নং ওয়ার্ড হাজী আক্রামউদ্দিন স্কুল অ্রান্ড কলেজ এবং ২৭নং ওয়ার্ডে চৌয়ারা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজের কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে।’

নিজের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে সাক্কু বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছরে বিদ্যমান স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উন্নয়নের পাশাপাশি নতুন করে কুমিল্লা মহানগর সদর দক্ষিণ এলাকার কোটবাড়ীকে কেন্দ্র করে একটি শিক্ষা নগরী গড়ে তোলা হবে। এই এলাকায় উপমহাদেশের প্রথম মুসলিম নারী নওয়াব ও সমাজ সেবিকা নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরাণীর নামে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার উদ্যোগ নেয়া হবে।’

শিক্ষার উন্নয়নে নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘লালমাই ও ময়নামতি পাহাড়ের আদিবাসী নৃতাত্বিক জনগোষ্ঠী ত্রিপুরাদের জন্য মাতৃভাষা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতজ্ঞ শচীন দেব বর্মণের নামে কুমিল্লা নগরে একটি সংগীত কলেজ স্থাপন করা হবে। কুমিল্লা মহানগরের পূর্বাঞ্চলে কুমিল্লা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় অথবা কুমিল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হবে। নগরের দক্ষিণাঞ্চলে মেয়েদের জন্য দুইটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। এখানে প্রথম শ্রেণি থেকেই লেখাপড়ার সুযোগ থাকবে। নগরীর পশ্চিম অংশে ছেলেদের জন্য একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হবে।’

সাক্কু বলেন, ‘সাবেক পৌরসভাগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকা সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সিটি করপোরেশনের আওতায় এনে উন্নত ও আধুনিক করা হবে। সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে স্থাপিত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই হবে উচ্চমানের এবং অলাভজনক।’

কুমিল্লার ঐতিহ্য রক্ষার প্রতিশ্রুতি

বিএনপির প্রার্থী বলেন, কুমিল্লা ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির শহর। এই গৌরবকে ধরে রাখার জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে। এই লক্ষ্যে তিনি নিজের পরিকল্পনার কথা জানান। এর মধ্যে রয়েছে নগরের শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি কর্মীদের জন্য নগর সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। নগরের ২৭টি ওয়ার্ডে সেইসব ওয়ার্ডের মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষাবিদ, সংস্কৃতিকর্মী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, উন্নয়নকর্মী, নারীনেত্রী এবং রাজনীতিবিদদের মধ্যে কীর্তিমানদের নামে একটি করে পাঠাগার স্থাপন করা হবে। সংস্কৃতি চর্চা ও নির্মল বিনোদনের সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিদ্যমান মিলনায়তনসমূহের সংস্কার ও উন্নয়ন করা হবে। প্রতি বছর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা বিশেষ অবদান রাখবেন তাঁদের সম্মাননা জানানো হবে। দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধা, শিল্পী, সংগঠক এবং শিল্প, সাহিত্য, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিক সংগঠনের জন্য বিশেষ বরাদ্দ থাকবে।

হাতিরঝিলের আদলে গোমতিতে বিনোদন কেন্দ্র

ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়, লালমাই, ময়নামতি এবং গোমতী নদীকে কেন্দ্র করে একটি মনোরম পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। ইতিমধ্যেই পুরাতন গোমতী নদীতে ঢাকার হাতির ঝিলের আদলে একটি বিনোদন কেন্দ্র গড়ার লক্ষ্যে প্রায় ২০০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যা শিগগির বাস্তবায়িত হবে।

মা ও শিশুদের চিকিৎসার জন্য নগরীতে আটটি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে উপযুক্ত ডাক্তার, নার্স, চিকিৎসা সামগ্রী, যন্ত্রপাতি ও অ্যাম্বুলেন্সসমৃদ্ধ স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এসব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বিশেষ করে মা শিশু এবং প্রবীণ নাগরিকদের চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা থাকবে। বিগত পাঁচ বছরে প্রায় চার হাজার দরিদ্র নারীকে প্রসূতিকালীন আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে। সিটি করপোরেশনের এই গণমুখী কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে।

অন্যান্য যত প্রতিশ্রুতি

ইশতেহারে বলা হয়, কর্মজীবী নারীদের জন্য ইপিজেড এলাকাসহ নগরীর বিভিন্ন অঞ্চলে স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ হোস্টেল স্থাপন করা হবে। মহিলাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাসহ নগরের বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় প্রয়োজনীয়সংখ্যক পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হবে। গত কয়েক বছরে ভবন নির্মাণের নকশা অনুমোদনে দ্রুততা ও স্বচ্ছতা আনা হয়েছে। সংশিষ্ট সবার সহযোগিতা নিয়ে এই প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ আরও দ্রুত করা হবে।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নিত্য নতুন ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে পরিস্থিতির কিছু উন্নতি হয়েছে। আরও উন্নতির লক্ষ্যে রিসাইকিলিংয়ের মাধ্যমে বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করার জন্য ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সংস্থার সাথে চুক্তি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঐতিহ্যবাহী ভিক্টোরিয়া কলেজের অবকাঠামো উন্নয়ন করে আসন সংখ্য বৃদ্ধি করা হবে যাতে আরও বেশিসংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়ার সুযোগ পান। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের জন্য অধিক হারে বৃত্তি প্রদান করা হবে।

দক্ষিণাঞ্চলের আঞ্চলিক কার্যালয়কে আরও সক্রিয় ও কার্যকর করা হবে। এই অঞ্চলে একটি স্টেডিয়াম ও প্রাসঙ্গিক অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে। শিশুদের কল্যাণে এখানে একটি শিশুপার্ক নির্মাণ করা হবে।

গত কয়েক বছরে কুমিল্লার খ্যাতিমান ব্যক্তিবর্গ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নগরের বিভিন্ন সড়কের এবং স্থাপনার নামকরণ করা হয়েছে। স্টেডিয়াম গেটের নামকরণ করা হয়েছে মাতৃভাষা আন্দোলনের অমর ব্যক্তিত্ব অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র নাথ দত্তের নামে। ভবিষ্যতেও নতুন সব সড়ক ও স্থাপনার নাম কুমিল্লার খ্যাতিমান ব্যক্তিবর্গ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নামেই করা হবে।

নিউমার্কেটের বেসমেন্টে হকারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেয়ায় কিছু হকার স্থায়ী উপার্জনের অবলম্বন পেয়েছেন। পর্যায়ক্রমে সকল হকারের স্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেয়া হবে। এতে তাদের জীবীকার স্থায়ী সংস্থানের পাশাপাশি নগরের যানজট সমস্যারও উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটবে।

বস্তিবাসীদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ এবং চলাচলের জন্য রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বস্তিবাসীসহ নগরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য স্বল্প ব্যয়ে আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।

গত কয়েক বছরে কান্দিরপাড় এবং নিউমার্কেটসহ অনেক নতুন জামে মসজিদ, ১৬টি নতুন মন্দির নির্মাণ এবং কবরস্থান ও শশ্মান তৈরি ও সংস্কার করা হয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এই কুমিল্লা নগরে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের এখন আর কেউ নির্যাতন করার সাহস পায়না। ভবিষ্যতেও পাবে না।

ইশতেহারে আরও বলা হয়, প্রতিবছর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের সম্বর্ধনা ও সম্মাননার ব্যবস্থা করা হয়। এই ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে। মুক্তিযোদ্ধাদের হোল্ডিং ট্যাক্স এবং পানির বিল হ্রাস করা হয়েছে। ভবিষ্যতে মওকুফ করার ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নগর ভবন এবং নগরের সকল স্থাপনায় প্রবীণ নাগরিক এবং নারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিক সেবা প্রাপ্তির সূযোগ নিশ্চিত করা হবে।

সন্ত্রাসকে উৎসাহ কিংবা সন্ত্রাসীদের আশ্রয় না দেয়ার নীতিতে অটল থেকে আমাদের এই প্রিয় নগরকে সন্ত্রাসমুক্ত এবং সম্মানিত নাগরিকদের জান-মাল নিরাপদ রাখতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সন্ত্রাস ও ইভটিজিংয়ের মতো অপরাধের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল আছি এবং থাকবো।

মাদকাসক্তির অভিশাপ থেকে কুমিল্লা মহানগরকে মুক্ত রাখার জন্য আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে মিলে কাজ করছি। মাদকমুক্ত কুমিল্লা প্রতিষ্ঠাতেও আমাদের অবস্থান কঠোর এবং ভবিষ্যতে হবে কঠোরতর।

মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘প্রস্তাবিত কুমিল্লা বিভাগের নাম পরিবর্তনের যেকোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করতে আমরা কুমিল্লাবাসী ঐক্যবদ্ধ। এই ঐক্যের নেতৃত্বে থাকবে কুমিল্লা মহানগর। আর তাই আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন হবে কুমিল্লার মর্যাদা রক্ষার নির্বাচন।’

সাবেক মেয়র জানান, নিউমার্কেটের পঞ্চম তলায় একটি আই.টি সেন্টার গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ কম্পিউটার এসোসিয়েশনের সাথে চুক্তি করা হয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে নগরের জনগণ বিশেষ করে যুব সমাজ এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে আউট সোর্সিংয়ের ব্যবস্থাসহ একাধিক আই.টি পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হবে। নগরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্য কেন্দ্রসহ বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ এলাকাকে ফ্রি ওয়াই ফাই জোনের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, যা শিগগির বাস্তবায়িত হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৪মার্চ/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :