সুস্থ হওয়ার আগেই হাসপাতাল ছাড়ল ‘বৃক্ষমানবী'
বিরল ‘বৃক্ষমানব সিনড্রমে' আক্রান্ত সাহানা খাতুনকে নিয়ে বাড়ি ফিরে গেলেন তার বাবা৷ তিনি দাবি করেছেন, চিকিৎসায় তাঁর মেয়ের কোনো উন্নতি হচ্ছে না৷ আর আর্থিক দূরাবস্থাও বাড়ছে৷ তাই চিকিৎসা আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত তাঁর৷ খবর ডিডব্লিউ’র।
সাহানা খাতুনের চিকিৎসা করা চিকিৎসকরা অবশ্য আশাবাদী ছিলেন৷ গতমাসে তার দেহে অস্ত্রপচার করে গাছের বাকলের মতো গজিয়ে ওঠা অংশগুলো অপসারণ করা হয়েছে৷ তাই চিকিৎসকরা চাচ্ছিলেন সাহানা আরও কয়েক সপ্তাহ অন্তত হাসপাতালে থাকুক৷
ধারণা করা হয়, সাহানা হচ্ছে বিশ্বের প্রথম মেয়ে যার শরীরে এই রোগ দেখা দিয়েছে৷ তার বাবা দিনমজুর মোহাম্মদ শাহাজাহান দাবি করেছেন, গতমাসে অপারেশনের পর সাহানার শরীরে আবার গাছের বাকলের মতো অংশগুলো গজিয়েছে৷ আর এবার আগের চেয়ে মোটা আর শক্তভাবে গজিয়েছে বলে তিনি আর চিকিৎসার ব্যাপারে আশাবাদী নন৷ বরং ভয়ে মেয়েকে নিয়ে হাসপাতাল ছাড়েন তিনি৷
দশ বছরের শাহানা খাতুনের মুখ থেকে গাছের ছালের মতো অংশগুলো সফলভাবে অপসারণ করা হয়েছে৷ গত মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিনামূল্যে এই অস্ত্রোপচার করা হয়৷
শাহাজাহানের কথা হচ্ছে, চিকিৎসকরা আরো দশ বা বারোবার অপারেশন করার পর তাঁর মেয়ের অবস্থার উন্নতি হবে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই৷ তাই চিকিৎসা আর আগে বাড়াতে রাজি নন তিনি৷ তাছাড়া আর্থিক দূরাবস্থা চলছে তাঁর৷
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজেন বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান সামান্ত লাল সেন অবশ্য চেষ্টা করেছিলেন সাহানাকে হাসপাতালে রাখতে৷ তিনি জানান, চিকিৎসকরা চাচ্ছিলেন আরও কয়েক সপ্তাহ সাহানার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে৷ কিন্তু তার বাবা তাতে রাজি হননি৷
প্রসঙ্গত, ইতোপূর্বে ‘বৃক্ষমানব' সিনড্রমে আক্রান্ত রিকশাচালক আবুল বাজানদারকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তুলতে সক্ষম হন ঢাকা মেডিক্যালের চিকিৎসকরা৷ বর্তমানে তিনি পুরোপুরি সুস্থ এবং বিশ্বের মধ্যে একমাত্র ব্যক্তি যাকে চিকিৎসার মাধ্যমে বিরল এই রোগ থেকে মুক্ত করা গেছে বলেও মনে করা হয়৷
(ঢাকাটাইমস/২৮মার্চ/জেবি)
মন্তব্য করুন