ব্রিটেনের নির্বাচনে আবারও বাংলাদেশের ‘তিন কন্যা’

ইউরোপ ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০১৭, ১১:০৬ | প্রকাশিত : ২২ এপ্রিল ২০১৭, ০৯:৫১

জুনে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তিন ব্রিটিশ এমপি রুশনারা আলী, টিউলিপ সিদ্দিক ও রূপা হক। ২০১৫ সালের নির্বাচনের লেবার পার্টির টিকিটে নির্বাচন করে এই তিনজনই জয়ী হয়েছিলেন।

লন্ডনে জন্ম নেওয়া বঙ্গবন্ধূ শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে হ্যাম্পসটেড ও কিলবার্ন আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে এক হাজার ১৩৮ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়ে টিউলিপ বলেন, ‘হ্যাম্পসটেড ও কিলবার্ন এলাকার সবার জন্য কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যেতে চাই। আমার কাজের কেন্দ্রবিন্দুতে সব সময় স্থানীয়রাই ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সাপ্তাহিক প্রশ্নোত্তর পর্বে আমি সরাসরি ডেভিড ক্যামেরন ও থেরেসা মে-কে চ্যালেঞ্জ করেছি। যদিও অনেকেই পার্লামেন্টে পেছনে সারিতে বসে থাকতেন। জুনিয়র ডাক্তারের সঙ্গে চুক্তি, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের লোকবল ছাঁটাই, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নাগরিকদের নিরাপত্তা, নারীদের সমানাধিকার ও অন্যান্য স্থানীয় বিষয় সামনে তুলে ধরেছি।’

চলতি বছরের শুরুতে পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট বিলের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিলেন টিউলিপ। এ কারণে তিনি লেবার পার্টির ছায়া মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন।

গত নির্বাচনে স্বল্প ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রূপা হক। তিনি লন্ডনের ইয়ালিং সেন্ট্রাল ও অ্যাকটনের আসনে মাত্র ২৭৪ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন। এবারও তিনি একই আসন থেকে নির্বাচনে লড়বেন।

বেথানাল গ্রিন ও বো থেকে নির্বাচিত হওয়া রুশনারা আলী রয়েছেন সবচেয়ে ভালো অবস্থানে। গত নির্বাচনে লেবার এমপি হিসেবে তিনি ২৪ হাজার ৩১৭ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন। আশা করা হচ্ছে, এবারও তিনি সহজ জয় পাবেন। বর্তমানে ছায়া মন্ত্রিসভার শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন রুশনারা আলী। তিনি ২০১০ সালেও এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তখন ব্যবধান ছিল ১১ হাজার ৫৭৪ ভোট। ২০১৫ সালের নির্বাচনে দ্বিগুণ ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন।

জুনের আগাম নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়ে ভবিষ্যৎ নিয়ে বাস্তব ও তথ্যভিত্তিক বিতর্কের আহ্বান জানিয়েছেন রুশনারা আলী। স্কুল ও জাতীয় স্বাস্থ্যসেবার (এনএইচএস) জন্য সুষ্ঠু তহবিল, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ভোটারদের এলাকা টাওয়ার হ্যামলেটসে সামাজিক ও সাশ্রয়ী আবাসন সুবিধা বাড়ানো, তরুণদের কর্মসংস্থান ও সুযোগ এবং অবসরপ্রাপ্তদের নিরাপত্তার ওপর তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় গুরুত্ব দেবেন।

রুশনারা বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব শিশুদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা, ২০২০ সালের মধ্যে বেঁচে থাকার মতো মজুরি সাপ্তাহিক ন্যূনতম ১০ পাউন্ড করা এবং রাষ্ট্রীয় সেবার জন্য আমি প্রচারণা চালাবো। সর্বোপরি, ব্রেক্সিটের সময়ে আমি স্থানীয় সেবা, কর্মসংস্থান ও বাণিজ্য রক্ষা করতে চাই। ইউরোপীয় ইউনিয়নের থাকার পক্ষে এবং ব্রেক্সিট বিলের বিপক্ষে আমি ভোট দিয়েছিলাম। থেরেসা মে-র ব্রেক্সিট যা স্থানীয়দের কর্মসংস্থান ও জাতীয় সমৃদ্ধিকে ঝুঁকি মধ্যে ফেলবে, তার বিরুদ্ধে আমাদের অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

পার্লামেন্টে থেরেসা মে-র আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব পাস হওয়ার পর সাত সপ্তাহব্যাপী নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়েছে। আগাম নির্বাচনের পক্ষে ব্রিটিশ এমপিদের ৫২২ জন ভোট দিয়েছেন। সাধারণ সময়সীমা অনুযায়ী, পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ইইউ ত্যাগে যুক্তরাজ্যের অবস্থান শক্তিশালী করতে আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব দেন।

(ঢাকাটাইমস/২২এপ্রিল/সিকে/জেএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :