বাগেরহাটে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের অবরোধে লাঠিচার্জ, আহত ৩০
বাগেরহাটে চার দফা দাবিতে আন্দোলনরত ম্যাটস শিক্ষার্থীদের অবরোধে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এতে অন্তত ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
তবে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশের দাবি, প্রচণ্ড দাবদাহে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা মেডিকেল স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে (বিডিএমএসএ) পৌনে ১১টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত বাগেরহাট মেডিকেল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (ম্যাটস্) শিক্ষার্থীরা বাগেরহাট-বরিশাল মহাসড়কের দড়াটানা সেতুর কাছে জড়ো হয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। প্রায় এক ঘণ্টা রাস্তার উপর বসে তারা বিক্ষোভ করতে থাকেন। এসময় রাস্তায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ সেখানে এসে লাঠিচার্জ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা মেডিকেল স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএমএসএ) সভাপতি গোলাম রব্বানী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা অনুযায়ী ম্যাটস্ শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করা, মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড নামে স্বতন্ত্র বোর্ড গঠন করা, ইন্টার্নশিপ ভাতা প্রদানসহ চার দফা বাস্তবায়নের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী আমরা সকালে ম্যাটস্ থেকে চার শতাধিক শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বাগেরহাট-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করি। সেখানে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছিলাম। পরে পুলিশ সেখানে এসে আমাদের সরানোর চেষ্টা করে। আমরা আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকতে চাইলে পুলিশ আমাদের ওপর চড়াও হয়ে লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে আমাদের অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থী কমবেশি আহত হয়েছেন।
লাঠিচার্জের অভিযোগ অস্বীকার করে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় বলেন, এখানকার ম্যাটসের শিক্ষার্থীরা যে চার দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনে নেমেছে তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব সরকারের। তারা খুলনা-বরিশাল সড়কের উপর বসে থাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে। আমি সেখানে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে শান্ত করি। শিক্ষার্থীরা রাস্তার উপর থেকে সরে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। শিক্ষার্থীরা প্রচণ্ড দাবদাহে অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে দাবি করেন পুলিশ সুপার।
(ঢাকাটাইমস/২৬এপ্রিল/প্রতিনিধি/জেবি)
মন্তব্য করুন