১০ মাসের শিশুকে আসামি: মামলা হচ্ছে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধেই
চুরি ও মারামারির মামলায় ১০ মাসের শিশু ও মৃত ব্যক্তির নামের অভিযোগপত্র দেওয় এবার মামলার আসামি হচ্ছেন রাজধানীর মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক মারফুল ইসলাম। ইতিমধ্যে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এখন তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার প্রস্ততি চলছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আহমেদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, অভিযুক্ত উপপরিদর্শক মারফুল ইসলামকে মঙ্গলবারই বরখাস্ত করে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
মিরপুর মডেল থানায় একটি মারামারি ও চুরির মামলায় ১০ মাসের শিশুকে অভিযুক্ত করেন পুলিশ কর্মকর্তা মারফুল ইসলাম। আর অভিযোগ পত্র দেওয়ার পর তাকে আগামী ১৬ মে তলব করে আদালত।
আদালত সূত্র জানায়, মারামারি আর চুরির অভিযোগে ১০ মাসের যে শিশুর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে, ঘটনার সময় তার বয়স ছিল মাত্র ২৮দিন।
গত ৩০ এপ্রিল ঢাকার আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিতে হয় শিশুটিকে। শুধু তাই নয়, সেখানে একজন মৃত ব্যক্তির নামেও অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে, যিনি ২০১৩ সালেই মারা গেছেন।
এসব বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করে আদালত। গতকাল মঙ্গলবার ছিল তার হাজিরার দিন। তবে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আদালতে হাজির হতে সময় চেয়ে আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা মারফুল ইসলাম।
মামলার নথিসূত্রে জানাযায়, ২০১৬ সালের ২৬ জুন হাবিবুর রহমান নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, মিরপুর মডেল থানার মধ্য পাইকপাড়ায় তার জমি দখল করতে আসে ২৩ জন আসামি। তারা তাঁর দোচালা ঘরের টিন ভেঙে ফেলেন এবং সোনার চেইন ও নগদ টাকা চুরি করেন। এজাহারে তিনি কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেন, যাদের মধ্যে আবুল কাশেম এবং রুবেল ও তুষার নামে তার দুই ছেলের উল্লেখ রয়েছে। মামলায় রুবেলের বয়স ৩০বছর লেখা হলেও, শিশুটির বয়স এখন মাত্র ১০ মাস।
ঢাকাটাইমস/১০মে/এএ/ডব্লিউবি
মন্তব্য করুন