রাঙামাটিতে এমএলএম প্রতারণায় পুলিশ সদস্যের নাম
রাঙামাটিতে পুলিশের নায়েক টারজান খীসার বিরুদ্ধে এমএলএম (মাল্টি লেভেল মার্কেটিং) কোম্পানি বিট মানি গ্লোবাল ডট নেটের নামে টাকা নিয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা সাংবাদিকদের কাছে তাদের অভিযোগ তুলে ধরেছেন।
নায়েক টারজান খীসা পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যানের দেহরক্ষী হিসেবে কর্মরত আছেন।
ভুক্তভোগীরা জানান, দ্বিগুন লাভ পাওয়া যাবে এমন প্রলোভনেত তারা টারজান খীসার মাধ্যমে বিট মানি হিসাবে টাকা জমা রাখেন। এ টাকা গত বছরের ১৬ এপ্রিল থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত ৫ মাসে দ্বিগুণ হওয়ার কথা ছিল। এই আশায় রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান থেকে গ্রাহকরা টাকা জমা রাখেন।
তাদের দাবি, ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন টারজান। তারা জানান, টারজান টাকা তুললেও অফিস ব্যবহার করতেন না, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় সভা করে গ্রাহকদের দ্বিগুণ অর্থের প্রলোভন দেখাতেন।
এ বছরের এপ্রিলে টাকা দেয়ার কথা থাকলেও সার্ভারটি বন্ধ করে দেন টারজান খীসা। টাকার জন্য গ্রাহকরা যোগাযোগ করলে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিতেন। গ্রাহকরা তাদের টাকা ফেরত পেতে সরকারের সহায়তা চেয়েছেন।
এ ব্যাপারে টারজান খীসার সাথে যোগাযোগ করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। আঞ্চলিক পরিষদের এক কর্মকর্তা বলেন, টারজান একজন পুলিশ বিভাগের লোক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক। কিন্তু তা না করে আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যানের নাম বার বার উচ্চারণ করা হচ্ছে। টারজানের চেয়ে আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যানের নাম বেশি উচ্চারণ করা হচ্ছে। আমি যা জানি এই বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যানও খুব বিব্রতকর অবস্থায় আছেন।
যোগাযোগ করা হলে রাঙামাটির পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান ঢাকাটাইমসকে বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঢাকাটাইমস/২৮মে/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি
মন্তব্য করুন