এবারও পীরগঞ্জে শেখ হাসিনা?
বড় দলের প্রধানদের একাধিক আসনে নির্বাচনের রীতি রয়েছে। এক সময় উন্মুক্ত থাকলেও এখন একজন প্রার্থী তিনটি এলাকা থেকে ভোটে দাঁড়াতে পারেন। আর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাও আগের নির্বাচনগুলোর ধারাবাহিকতায় আগামী সংসদ নির্বাচনে তিনটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন বলে জানিয়েছেন নেতারা। এ ক্ষেত্রে নিজের জন্মভূমি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া তার প্রথম পছন্দ থাকবে, দ্বিতীয়টি রংপুরের পীরগঞ্জ হোক, এটাই চাইছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ।
পীরগঞ্জ শেখ হাসিনার প্রয়াত স্বামী ওয়াজেদ মিয়ার জন্মভূমি। আর ওই এলাকার নেতাদের অনুরোধের পর ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে ওই আসন থেকে প্রার্থী হন শেখ হাসিনা। তখনও সেখানে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী অবস্থান তৈরি হয়নি। আর প্রথম নির্বাচনে অল্প ভোটে হেরে গেলেও ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচন দুই হাত ভরে দিয়েছে শেখ হাসিনাকে। বিপুল ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে তিনি পীরগঞ্জের সংসদ সদস্যও হন। পরে অবশ্য আসনটি তিনি ছেড়ে দেন। পরে উপনির্বাচনে জেতেন আওয়ামী লীগেরই আবুল কালাম আজাদ।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনেও এ আসন থেকে নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। তাঁর ছেড়ে আসনের উপ-নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত জাতীয় সংসদের স্পীকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-৩ এবং রংপুর-৬ আসন থেকে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা নির্বাচন করবেন এটা এক প্রকার নিশ্চিত। এ দুটি আসনের জনগণও চায় তিনি যেন এ আসন থেকে নির্বাচন করেন।
আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেন, সারা দেশের মানুষ চাই জননেত্রী শেখ হাসিনা যেন তাদের এলাকায় প্রার্থী হন। কিন্তু নির্বাচনি আইনের বাধ্যবাধকতায় তা সম্ভব নয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় বুঝা যাচ্ছে আগামী নির্বাচনেও তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ থেকে নির্বাচন করবেন।
পীরগঞ্জের বাসিন্দা রংপুর কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থী আবুল হাসনাত ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের এলাকার পুত্রবধূ। তিনি আমাদের এলাকা থেকে নির্বাচন করেন। তা আমাদের জন্য গর্ব। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি এ আসন থেকে নির্বাচন করবেন এমন প্রত্যাশা আমরা করি। তিনি যদি কখনো নির্বাচন না করেন, তাহলে আমরা আমাদের এলাকার সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়কে প্রত্যাশা করি।’
রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘পীরগঞ্জ প্রধানমন্ত্রীর শ্বশুরবাড়ি হওয়ায় বিগত দুটি নির্বাচনে তিনি এ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। পরে দুইবারই তিনি এ আসনটি ছেড়ে দিয়েছিলেন। পীরগঞ্জের মানুষের চাওয়া ছিলো প্রধানমন্ত্রী যেন এ আসনটি ধরে রাখেন। আর যদি তিনি ছেড়ে দেন তাহলে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসাবে আমরা সজীব ওয়াজেদ জয়কে চিন্তা করি। এগুলো নেত্রী বিবেচনা করবেন।’
ঢাকাটাইমস/০৭/জুন/টিএ/ডব্লিউবি
মন্তব্য করুন