বাজারে নেই মূল্য তালিকা, ভোগান্তিতে ক্রেতারা
রাজধানীর মোহাম্মাদপুরের বেশকিছু বাজারের নেই সিটি কর্পোরেশনের প্রতিদিনের বাজার মূল্য তালিকা। অনেক বাজারে তালিকা থাকলেও তা মানছেন না বিক্রেতারা। মোহাম্মাদপুরের শিয়া মসজিদ বাজার ঘুরে দেখা যায়, সিটি কর্পোরেশনের মূল্য তালিকার বোর্ড থাকলেও তা ব্যবহার হচ্ছে না দীর্ঘদিন।
মোহাম্মাদপুরের হোসেন মার্কেটে নেই সিটি কর্পোরেশনের মূল্য তালিকা বোর্ড। শিয়া মসজিদ বাজারের বোর্ডটি আগে অনিয়মিতভাবে ব্যবহার করা হলেও বর্তমানে তা একেবারেই ব্যবহার হচ্ছে না। ফলে বিক্রেতারা দাম হাঁকাচ্ছেন খেয়াল খুশি মত। বিপাকে পরছেন স্থানীয় ক্রেতারা।
বিষয়টি সম্পর্কে বাজার কমিটির কাছে জানতে চাইলে, কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘বাজারটি নিবন্ধিত ও সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত। সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে প্রতিদিনের বাজার তালিকা বাজার কমিটির কাছে পাঠানোর কথা। কিন্তু গত তিন মাস যাবত তা পাঠানো হচ্ছে না। আমরা মূল্য তালিকা না পেলে বোর্ডে কি লিখব?
সুত্র জানায়, বাজার কমিটির পক্ষ থেকে মূল্য তালিকার বিষয়ে সিটি কর্পোরেশন কে এখনো কিছু জানাননি বর্তমান কমিটি। এ বাজারের নিয়মিত ক্রেতা মুরাদ গং ঢাকা টাইমসকে বলেন, মোহাম্মাদপুরের অন্যান্য বাজারের তুলনায় এখানে জিনিস পত্রের দাম বেশি। সিটি কর্পোরেশনের মূল্য তালিকার বোর্ড না থাকায় দোকানদাররা যা ইচ্ছে তাই দাম চাচ্ছে। আমাদেরও বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে।’
ক্রেতা রাশিদা বেগম জানান, ‘টিভিতে-পত্রিকায় দেখি কোন কিছুর দাম বাড়েনি। কিন্তু এই বাজারে আসলেই সব কিছুর দাম বেশি।’
সরেজমিনে দেখা গিয়ে দেখা যায়, পাইকারি বাজারের দাম ওঠানামা না করলেও রমজানকে উপলক্ষ করে কেজিতে ৫-১০ টাকা হারে বেড়েছে চিনি, ছোলা, ডাল, পেয়াজ ও সবজির দাম। চাহিদার সাথে সমন্ময় করে হালিতে ২-৪ টাকা কমেছে ডিমের দাম। এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিল (৩৩নং ওয়ার্ড) তারিকুজ্জামান রাজীব ঢাকা টাইমসকে বলেন ‘বাজারের মূল্য তালিকার বিষয়ে বাজার কমিটির অবশ্যই সিটি কর্পোরেশনের সাথে যোগাযোগ করা উচিত ছিল। এমনকি তারা আমাকেও কিছু জানায় নি। তবে, অন্যান্য বাজারের সাথে বাজার মূল্যের তারতম্য দেখা গেলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
ঢাকাটাইমস/ ১০জুন/কারই/এজেড/কেএস
মন্তব্য করুন