অভাবের সংসারে সচ্ছলতা ফেরানো হলো না শামীমের
অভাবের সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে ভাইদের হাত ধরে মাত্র চার মাস আগে দাম্মামে পাড়ি জমান শামীম। তিনি ভৈরবের পৌর শহরের ফেরিঘাট বাজারে ব্রয়লার মুরগির ব্যবসা করতেন। স্ত্রী আলেয়া খাতুন, সদ্য এসএসসি পাস করা মেয়ে তমা, মাদ্রাসায় পড়–য়া মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস এবং স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনে কেজি ওয়ানে পড়–য়া একমাত্র ছেলে ছিদ্দিকুর রহমানকে নিয়ে ছিল তার সংসার।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ৬ জুন সৌদি আরব সময় রাত সাড়ে ৯টার দিকে কাজ শেষ করে আকামা জটিলতায় আলকাতিফ এলাকায় কফিলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিন প্রবাসী। এ সময় ওই এলাকায় শিয়া ও সুন্নি সম্প্রদায়ের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের কারণে ১৪৪ ধারা জারি ছিল। তারা ১৪৪ ধারা সম্পর্কে না জানায় গাড়ি করে ওই এলাকায় গিয়ে নামার সাথে সাথে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ শামীম, শাহপরাণ ও মাহবুবকে সেখান থেকে উদ্ধার করে দাম্মামের একটি হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক শামীম ও শাহপরাণকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত মাহাবুব বর্তমানে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
শামীম চন্ডিবের মধ্যপাড়া এলাকার মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে। অপরদিকে শাহপরাণ একই এলাকার বুদাই বেপারির বাড়ির নূরু মিয়ার ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে আরও জানা যায়, নিহতরা পরস্পর কাজিন। শামীম ওইখানে একা থাকলেও শাহপরাণরা চার ভাই থাকেন দাম্মামে। অপর তিন ভাই হলেন জাফরান, মিজান ও ইমরুল কায়েস।
দাম্মাম থেকে মোবাইলে জাফরান জানান, ঘটনার পর থেকে সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাসে তারা ছোটাছুটি করছেন। কিন্তু তেমন কোনো সাড়া পাচ্ছেন না। ‘দেখবো, দেখছি’ বলে কালক্ষেপণ করছেন সেখানকার কর্মকর্তারা। তিনি তার ভাইদের লাশ দেশে পাঠাতে সরকারের সহায়তা কামনা করেন।
(ঢাকাটাইমস/১১জুন/প্রতিনিধি/জেবি)
মন্তব্য করুন