সুজন গোলটেবিলে বক্তারা

আদালতের রায় নিয়ে সংসদে আলোচনার সুযোগ নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১১ জুলাই ২০১৭, ১৮:৫০

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও রায় নিয়ে সংসদে আলোচনার এখতিয়ার সংসদ সদস্যদের নেই। বিচার বিভাগের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষা করা বেশি দরকার। তা না হলে এর প্রতি মানুষের আস্থা থাকবে না।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক গোলটেবিল আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।

সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক, লেখক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া প্রমুখ।

গোলটেবিলের সঞ্চালক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সংসদের কার্যপ্রণালি বিধির ৫৩, ৬৩, ও ১৩৩ ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে সংসদে আলোচনা করার সুযোগ নেই। এই বিধি সংসদ প্রণীত একটি আইন। সংসদ সদস্যরা নিজেদের করা আইন মানেন না, এটা দুঃখজনক।

শাহদীন মালিক বলেন, ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে আদালতের রায় সম্পর্কে সংসদে আলোচনার এখতিয়ার সংসদ সদস্যদের নেই। এটি নিয়ে আলোচনা করে তারা নিজেরাই নিজেদের নিয়মকানুন ভঙ্গ করেছেন। সংসদের ওই আলোচনা ইউটিউব থেকে ডাউনলোড করে সংসদ সদস্যদরা যদি দেখেন তাহলে উপলব্ধি হবে, তারা আসলে কী করেছেন।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীতে উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে নেয়াকে সম্প্রতি বাতিল ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। এই রায় নিয়ে সংসদে আলোচনায় সাংসদরা প্রধান বিচারপতি, বিচারপতিদের প্রতি তীব্র সমারেঅচনা করেন।

সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, কোনো দেশের বিচারব্যবস্থা সে দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থার বাইরে নয়। এটা সব আমলেই যা ছিল এখনো তা-ই। বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা এ জন্যই বারবার বলা হয়, যাতে রাষ্ট্রের শক্তিশালী ব্যক্তিটির সঙ্গে সবচেয়ে দুর্বল ব্যক্তিটিও ন্যায়বিচার পায়।

বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘জনগণের আন্দোলনের ফসল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান যখন বাতিল করে দেওয়া হলো, তখন কিন্তু রাজনীতিবিদরা বা সংসদ সদস্যরা এতটা উত্তেজিত ছিলেন না। তারা স্বাগত জানিয়েছিলেন সেই রায়কে। কিন্তু এবার হলো তার উল্টো। তার মানে রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধ না হলে রায় না মানার মানসিকতা আমাদের মধ্যে এখনো আসেনি।’

(ঢাকাটাইমস/১১জুলাই/এএকে/এমএবি/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :