ডিসি সম্মেলনে মাঠ প্রশাসনের ৩৪৯ প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৪ জুলাই ২০১৭, ২৩:০০ | প্রকাশিত : ২৪ জুলাই ২০১৭, ২২:৫৫
ফাইল ছবি

মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) তিন দিনের সম্মেলনে এবার মাঠ প্রশাসন থেকে প্রায় সাড়ে তিনশ প্রস্তাব এসেছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম। বর্তমান সরকারের আমলে আরও একটি ডিসি সম্মেলন হলেও এবারের সম্মেলনের প্রস্তাবগুলোই পুরোপুরি বাস্তবায়নের সময় পাওয়া যাবে বলে এই সম্মেলনকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে সরকার।

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের শাপলা হলে এই সম্মেলন শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করবেন। তিন দিনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা ১৮টি কার্য অধিবেশনে ডিসিদের সঙ্গে মতবিনিময় করে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেবেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিসভার সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব, বিভাগীয় কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

সম্মেলনে জেলা প্রশাসকদের বক্তব্যও শুনবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রশাসনের গতিশীলতা আনতে এবং তৎপরতা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেবেন। একটি সুপারিশমালাও থাকছে এবারের জেলা প্রশাসক সম্মেলনে।

এবারের জেলা প্রশাসক সম্মেলন মঙ্গলবার শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার শেষ হবে। তিন দিনের এই জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২২টি অধিবেশনে সাজানো হয়েছে। এবারের সম্মেলনে ৩৪৯টি প্রস্তাব দিয়েছেন ডিসিরা। এর মধ্যে কার্য-অধিবেশন হবে ১৮টি। এই ১৮টি কার্য-অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ মোট অংশ নেবে ৫২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।

প্রতি বছরই ঘটা করে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের সুপারিশ করা হয়। এসব সমস্যার আলোকে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এবারের ডিসি সম্মেলনে সাম্প্রতিক সময়ে সারাদেশে ঘূর্ণিঝড় মোরা, বন্যা, বাঁধ ভাঙন এবং পাহাড়ধস এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বেশ কিছু আলোচিত বিষয় থাকছে।

সূত্র জানায়, গত বছর জেলা প্রশাসক সম্মেলনে সিদ্ধান্ত হয়েছিল দীর্ঘদিন যাবৎ অব্যবহৃত ও অরক্ষিত রেলের জমি জাতীয় স্বার্থে ব্যবহারের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। গ্রামপুলিশের থানায় হাজিরার জন্য যাতায়াত ও দৈনিক ভাতার ব্যবস্থা করতে হবে। মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল বন্ধ করতে হবে। এসডিজি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০২০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর হার অর্ধেকে কমিয়ে আনতে হবে।

এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিবিজড়িত স্থান সংরক্ষণ, সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসন সঙ্কট দূর করা, যত্রতত্র ইটভাটা স্থাপন না করা, ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন সমস্যা নিরসনে নানা সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু এর সব বাস্তবায়ন করা যায়নি। এবারের সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে স্থান পেয়েছে পুরনো এই সমস্যাগুলোও। ডিসি সম্মেলন সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অগ্রগতি প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে।

সম্মেলনে প্রথম দিন

প্রধানমন্ত্রীর সম্মেলন উদ্বোধনের পর করবী হলে বিভিন্ন বিষয়ে মুক্ত আলোচনা করবেন জেলা প্রশাসকেরা। প্রথম অধিবেশনের পর প্রথম আলোচনায় এবার স্থান পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং সবার জন্য গৃহ কর্মসূচিসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগগুলো।

দ্বিতীয় আলোচনায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

তৃতীয় আলোচনায় অর্থ বিভাগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, পরিকল্পনা বিভাগ এবং বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ।

চতুর্থ আলোচনায় থাকছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। পঞ্চম আলোচনায় থাকছে তথ্য মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।

দ্বিতীয় দিন

দ্বিতীয় দিন থাকছে আটটি অধিবেশন। প্রথম আলোচনায় স্থান পেয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পযর্টন, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণলায় এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়। দ্বিতীয় আলোচনায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

তৃতীয় আলোচনায় স্থান পেয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। চতুর্থ আলোচনায় রয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। পঞ্চম আলোচনায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, ষষ্ঠ আলোচনায় রয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

সপ্তম আলোচনায় রয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, সেতু বিভাগ এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়। অষ্টম আলোচনায় স্থান পেয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরপর প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদের সাঙ্গে বঙ্গভবনে সাক্ষাৎ করবেন ডিসিরা।

তৃতীয় দিন

শেষ দিনে হবে ছয়টি অধিবেশন। প্রথম আলোচনায় স্থান পেয়েছে ভুমি মন্ত্রণালয়, দ্বিতীয় আলোচনায় স্থান পেয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।

তৃতীয় অধিবেশনে স্থান পেয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়, লেজিসলেটিভ সংসদ বিষয়ক বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। চতুর্থ আলোচনায় স্থান পেয়েছে জননিরাপত্তা বিভাগ ও সুরক্ষা সেবা বিভাগ। পঞ্চম আলোচনায় থাকছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

(ঢাকাটাইমস/২৪জুলাই/এমএম/ডব্লিউবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে ইতালির ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

ফুডসিস্টেম ড্যাশবোর্ডে সহজ হবে নীতিমালা প্রণয়ন: খাদ্য সচিব

নিরাপদ সড়ক গড়তে উবার-বিআরটিএ’র যৌথ উদ্যোগ

উন্নত বাংলাদেশ মানে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা: নৌ প্রতিমন্ত্রী

এপ্রিলে সড়কে ঝরেছে ৬৭৯ প্রাণ, ক্ষতি ২ হাজার কোটি টাকার বেশি

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর কাছে ভিসাসহ তিন সমস্যায় সহযোগিতা চাইলেন কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত

পাসের হার ও জিপিএ-ফাইভে মেয়েরা এগিয়ে

যারা ফেল করেছে তাদের গালমন্দ করবেন না: প্রধানমন্ত্রী

রাজধানীর যানজট নিরসনে আন্তঃজেলা বাসের ‘গেটলক’ সিস্টেম চালু, অমান্য করলেই ব্যবস্থা

চাকরির বয়স ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা 

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :