সদরপুরে বোরো চাষে ছাড়িয়েছে লক্ষ্যমাত্রা, তবুও চিন্তিত কৃষক

সদরপুরের মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে সোনালি ধানের শিষ। নয়ন জুড়ানো অপরূপ শোভায় সজ্জিত দিগন্তজোড়া ফসলের মাঠ। এ যেন হলুদ আর সবুজের সমারোহ। কোথাও কোথাও শুরু হয়েছে পাকা ধান কাটা।
বাকিটা এখনও শোভা বর্ধন করছে খেতে। এ চিত্র ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার। তবে শেষ মুহূর্তে এসে বৈরী আবহাওয়ার কারণে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ৭৪০ হেক্টর জমি। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বোরো ধান চাষ হয়েছে এক হাজার ৭৯৫ হেক্টর জমিতে। কৃষি অফিস আরও জানিয়েছে আবাদের শুরু থেকে বোরো ধানের বীজ, সার ও কীটনাশকসহ অন্যান্য উপকরণ সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে কৃষকদের। ফলে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে ধান চাষে।
সদরপুর উপজেলার ১৭ রশি গ্রামের কৃষক আমিন সরদার বলেন, ‘বৃষ্টি হইলে সমস্যা নাই। বাতাসি ঝড় বা শিলাবৃষ্টি হইলে আমাগো সমস্যা। পাকা ধানের অনেক ক্ষতি অই’। মটুক চরের কৃষক হাসেম সর্দার ও আকটেরচরের কৃষক আয়নালসহ অনেক কৃষক একই কথা জানিয়েছেন।কৃষকেরা জানান, এপ্রিল মাস জুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ থাকলেও ইরি ধানের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। বুধবার (৮ মে) সকাল ১১টা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকেরা ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি দেশজুড়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে কালবৈশাখি ঝড় ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় উপজেলার তারা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। কালবৈশাখি ঝড়, শিলাবৃষ্টি, তীব্র দাবদাহে ধানে চিটা পড়া এবং ন্যায্যমূল্য পাবে কি না এইসব নিয়েই এখন তাদের চিন্তা। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিটুল রায় জানান, দাবদাহ মোকাবিলা করতে সার্বক্ষণিক কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করা যায়। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন- কালবৈশাখি ঝড় ও শিলাবৃষ্টি পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করতে পারে। তিনি জানান, ৮০ ভাগ ধান পেকে গেছে। যতদ্রুত সম্ভব পাকা ধানগুলো কেটে গোলায় নিয়ে আসার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১২মে/প্রতিনিধি/পিএস)

মন্তব্য করুন