তুফান- রুমকি আবারও রিমান্ডে

বগুড়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৪ আগস্ট ২০১৭, ১৮:৩০

বগুড়ায় কিশোরীকে ধর্ষণ এবং ভুক্তভোগী ও তার মাকে নির্যাতন করে মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় আসামি তুফান সরকার এবং নারী কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান রুমকির আবারও দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

শুক্রবার বিকালে সাড়ে ৫টায় তাদেরকে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর (অপারেশন) আবুল কালাম তুফানের তৃতীয় দফায় এবং রুমকি দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় দুই আসামির দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে।

অপরদিকে মুন্না নামের আরেক আসামির ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী বলেন, তুফান এবং রুমকি আবারও দুই দিনের রিমান্ড পেয়েছে পুলিশ। ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনার আরও বিস্তারিত তথ্য উদ্ধার করতে আসামিদের আবারও রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল। আদালত তাদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। অপরদিকে মুন্না আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত ১৭ জুলাই শহর শ্রমিক লীগের সে সময়ের সভাপতি তুফান সরকার কলেজে ভর্তি করে দেওয়ার কথা বলে ওই কিশোরীকে বাসায় ডেকে নেন। সেখানে তাকে দিনভর কয়েক দফা ধর্ষণের অভিযোগ করে কিশোরীটি। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সে অসুস্থও হয়ে পড়ে। পরে তাকে চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। পাশাপাশি বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখানো হয়।

কিন্তু ঘটনাটি ওই কিশোরীর মা জানতে পারেন এবং বিভিন্ন মাধ্যমে তুফান সরকারের স্ত্রীর কানেও যায়। এরপর শুক্রবার বিকালে তুফান সরকারের স্ত্রী আশা খাতুন তার বড় বোন পৌরসভার সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান রুমকি এবং তার মা রুমী বেগম ওই কিশোরী ও তার মাকে নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ উঠে। পরে তাদের দুই জনের মাথা ন্যাড়া করে দেো জয়।

এই ঘটনা প্রথমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে শহরে। আর থানায় মামলা করেন কিশোরীটির মা। আর পুলিশ গ্রেপ্তার তরে তুফান সরকারসহ চার জনকে। পরে আরও সাত জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ৩০ জুলাই তুফানসহ চার জনকে তিন দিনের রিমান্ডে পায় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তুফান ও তার সহযোগীরা কিশোরী ধর্ষণ এবং তার ও তার মায়ের মাথা করার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি।

এই ঘটনায় তুফান সরকারকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন শ্রমিক লীগ। এই আসামির বড় ভাই মতিন সরকারকেও সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে আওয়ামী লীগের আরেক সহযোগী সংগঠন যুবলীগ। তিনি যুবলীগের বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

ঢাকাটাইমস/০৪আগস্ট/প্রতিনিধি/জেডএ

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :